বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রবাসী আয়ে ফের সুবাতাস

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ১৮:৫৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রণোদনা বেড়েছে। সামনে রমজান ও দুটি ঈদ উৎসব আছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।’

ফেব্রুয়ারিতে ভাটার পর ফের গতি ফিরেছে রেমিট্যান্সপ্রবাহে। চলতি মার্চ মাসের ১৬ দিনেই ১০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বর্তমান বিনিময়হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।

টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

তার আগের দুই মাস ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় ওই মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহ খানিকটা কমেছিল বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।

তবে মার্চ মাসে এই সূচকে ফের গতি ফিরেছে। এই মাসের প্রথম ১৬ দিনে (১ থেকে ১৭ মার্চ) ১০৩ কোটি ২০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই গতিতে রেমিট্যান্স আসলে মাস শেষে ২০০ কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রণোদনা বেড়েছে। সামনে রমজান ও দুটি ঈদ উৎসব আছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় রেমিট্যান্স বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’

ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ২৮ দিনে। প্রতি বছরই এই মাসে অন্য মাসগুলোর চেয়ে কম রেমিট্যান্স দেশে আসে। এবারও তাই হয়েছে।’

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রেমিট্যান্সপ্রবাহেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই বছরের এপ্রিলে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এর পর থেকে অবশ্য মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন লক্ষ করা যায়।

ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সপ্রবাহে ভাটার টান লক্ষ করা যায়। প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা সোয়া কোটি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। গত জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এখন ১০০ টাকা দেশে পাঠালে যার নামে পাঠাচ্ছেন তিনি ১০২ টাকা ৫০ পয়সা তুলতে পারছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, মার্চ মাসের ১৬ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৯২ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ১৮ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

রিজার্ভ ৪৪.৪০ বিলিয়ন ডলার

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন (২১৬ কোটি) ডলারের রেকর্ড আমদানি বিল পরিশোধের পর ৬ মার্চ বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। যা ছিল গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় গত কয়েক দিনে তা বেড়ে রোববার ৪৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।

বর্তমানের আমদানির খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। অথচ ছয় মাস আগেও ১০ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর রিজার্ভ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে।

এ বিভাগের আরো খবর