গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫২টি জেলায় কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি। এর আগের দিন ৪৮ জেলা রোগীশূন্য ছিল।
এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১১৭ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৮২ জন।
এর আগের দিন ৬২ জন নতুন রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তদর। ৮২ জন মিলে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৬০৯ জনে।
৭৫ শতাংশ রোগীই ঢাকার
করোনা পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জেলাগুলোয় রোগীর পরিমাণ কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন তার ৭৫ শতাংশই ঢাকার।
শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে ৯ হাজার ৮২টি নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
করোনা শনাক্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের তিনজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। ঢাকা, খুলনা ও ময়মনসিংহে একজন করে মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৩৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৪৭১ জন।
করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে আবার নতুন ঢেউ আসে। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই ঢেউয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এর পর থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই কমতে থাকে শনাক্তের হার। গত ১১ মার্চ এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে ভাইরাসটির ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা যাবে। আর করোনার ঢেউয়ে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার কমে ৫ শতাংশের নিচে নেমে পরপর দুই সপ্তাহ এই পরিস্থিতি থাকলে ঢেউটি নিয়ন্ত্রণে বলে বিবেচনা করা হয়।