বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না কাকলির

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ১৭:২৬

নিহত কাকলির ভাই ফারুক মাদবর বলেন, ‘আমার বইনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আজ (রোববার) গায়েহলুদ ছিল। এই কথা জেনে ওই বখাটে (জাহিদুল) আমার বইনকে ছুরি দিয়া আঘাত করছে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঢাকা রেফার করে। ঢাকায় আইসিউতে ছিল। আজ মারা গেছে।’

শরীয়তপুরে ছুরিকাঘাতে আহত কাকলি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার তার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ছিল, সোমবার ছিল বিয়ের দিন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার ভোরে কাকলির মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ছুরি হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

নিহত কাকলির মা ফরিদা বেগম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাকলি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চরপালং গ্রামের দুবাই প্রবাসী নুরুজ্জামান মাদবরের মেয়ে। শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার দাখিলের ছাত্রী ছিলেন তিনি।

মা ফরিদা বেগমের অভিযোগ, ওই মাদ্রাসারই সাবেক ছাত্র জাহিদুল ইসলাম তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন। পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু জাহিদুলের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হননি তারা।

তিনি জানান, সম্প্রতি অন্যত্র কাকলির বিয়ে ঠিক করেন তারা। রোববার তার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ছিল। আর সোমবার ছিল বিয়ের দিন। সে অনুযায়ী বাড়িতে বিয়ের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে কাকলিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন জাহিদুল। তার চিৎকারে পালিয়ে যাওয়ার সময় জাহিদুলকে ধরে পিটুনি দেয় এলাকার মানুষ।

খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকেই উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অবস্থার অবনতি হলে কাকলিকে সেখান থেকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিউতে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

ফরিদা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মেয়েরে যে মারছে, তার বিচার চাই। ওর কোনো দোষ ছিল না। আমার মাইয়াডারে ওই জানোয়ার কোপায়া মাইরা ফালাইছে। ওর যন্ত্রণায় আমার মাইয়ার বিয়া ঠিক করছি। হেই মাইয়া মাইরা ফালাইল।’

ভাই ফারুক মাদবর বলেন, ‘আমার বইনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আজ (রোববার) গায়েহলুদ ছিল। এই কথা জেনে ওই বখাটে আমার বইনকে ছুরি দিয়া আঘাত করছে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঢাকা রেফার করে। ঢাকায় আইসিউতে ছিল। আজ মারা গেছে।’

বোনের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, ‘বিনা দোষে আমার বোনের মরতে হলো। আমরা এর বিচার চাই।’

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘ওই তরুণীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তার ভাই একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় নথিভুক্ত করা হবে। ওই মামলায় জাহিদুলকে আসামি করা হয়েছে। এলাকার মানুষের পিটুনিতে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর