একটি বিশাল জাহাজ পেছনে, সামনে লঞ্চটি।
যাত্রী বোঝাই ছোট নৌযানটিকে ধাক্কা দিয়ে চলছে দৈত্যাকার জাহাজটি। যাত্রীরা চিৎকার করছে, সেটি স্পষ্ট। কিন্তু বিকট শব্দের কারণে জাহাজে পৌঁছেছে কি না, সেটি জানা গেল না।
এক মিনিটের মতো সময় ধরে ছোট লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে চালিয়ে যেতে দেখা গেল জাহাজটিকে। সেটি নিচে পড়ে গুঁড়িয়ে যাবে, এই বিষয়টি বুঝতে পারার পর যাত্রীরা লাফিয়ে নেমে যেতে থাকলেন লঞ্চ থেকে।
কত জন বাঁচতে পারলেন, সেটি নিশ্চিত নয়। এক পর্যায়ে দেখা গেল লঞ্চটি ভেঙে জাহাজের তলায় চলে গেল।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ একে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
‘এর আগেও শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে প্রাণহানি হয়েছে। নৌপুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা ঠিকমতো তদারকি না করায় শীতলক্ষ্যা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।’
ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে সাঁতরে বন্দরের মাহমুদনগরে ওঠেন যাত্রী সোলায়মান মিয়া। তিনি জানান, লঞ্চটি সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে এমভি রূপসী পর পর কয়েকবার ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়ায়। তখন অনেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন।