বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলকাতায় বিনোদনের নতুন ঠিকানা ‘প্রফেসর শঙ্কু পার্ক’

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ১৭:২২

এনকেডিএ চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘জন্মশতবর্ষে সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে তৈরি করে গত বছর এই পার্কটি সন্দীপ রায়কে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়েছিল। কোভিড সংক্রমণের জন্য পরে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এ বছর মার্চ মাস থেকে সম্পূর্ণরূপে পার্কটি আবার খুলে দেয়া হয়েছে। ভিড় বাড়ছে। যারা সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু পড়েছেন, তাদের কাছে এই পার্ক বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।’

কলকাতায় নতুন এক বিনোদনের ঠিকানা প্রফেসর শঙ্কু পার্ক। সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্র প্রফেসর শঙ্কু ও তার কর্মকাণ্ড বইয়ের পাতা থেকে তুলে এনে এই পার্ক সাজানো হয়েছে।

লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ২ মে জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধা জানাতে নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ এই উদ্যোগ নিয়েছে।

এনকেডিএ চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘জন্মশতবর্ষে সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে তৈরি করে গত বছর এই পার্কটি সন্দীপ রায়কে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়েছিল। কোভিড সংক্রমণের জন্য পরে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।

‘এ বছর মার্চ মাস থেকে সম্পূর্ণরূপে পার্কটি আবার খুলে দেয়া হয়েছে। ভিড় বাড়ছে। যারা সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু পড়েছেন, তাদের কাছে এই পার্ক বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।’

নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অ্যাকশন এরিয়ায় সিটি সেন্টার টু’র পেছনে দুই একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে এই পার্ক। ২ মে সত্যজিৎ রায়ের শততম জন্মদিন। তার আগে সম্পূর্ণরূপে আবার পার্কটি খুলে দেয়া হয়েছে।

সত্যজিৎ রায়ের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৬৫ সালে তারই লেখা কল্পবিজ্ঞানের গল্প প্রফেসর শঙ্কু এবং পার্শ্ব চরিত্রদের কর্মকাণ্ড দিয়ে সাজানো হয়েছে এই পার্কটি। এর আগে এনকেডিএ সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেলুদা স্মারক ও সোনার কেল্লা উদ্যান তৈরি করা হয়েছিল।

এনকেডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মনে করলাম ওনার, প্রফেসর শঙ্কুর নামে একটা পার্ক হওয়া উচিত। সেই যে গিরিডিতে বসে, সেই যে সায়েন্টিস্ট, জগৎজোড়া নাম করেছেন । সত্যজিৎ বাবুরই কল্পনা। সেই দিয়েই ভাবনা। আমরা চেষ্টা করেছি। বেশি পুরোনো ছবি দিয়ে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে। আজকের বাচ্চাদের মধ্যে নতুন করে কৌতূহল জাগাতে এই প্রচেষ্টা।’পার্কের মধ্যে রয়েছে প্রফেসর শঙ্কুর গবেষণাগার। সেখানে তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র, যন্ত্রপাতি, রোবট বটুকনাথ, মাইক্রোস্কোপ, টেলিস্কোপ এখানে সাজানো রয়েছে।

মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই সামনে দেখা যাবে প্রফেসর শঙ্কুর বিশাল ভাস্কর্য।

এ ছাড়া ছোটদের জন্য রয়েছে করভাস প্লে এরিয়া। করভাস সেই যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান কাক। তার মূর্তি রয়েছে এই প্লে এরিয়াতে।মিসরের মমি, ডাইনোসর, ভিনগ্রহের প্রাণী সব প্রাণবন্ত হয়ে রয়েছে এখানে। রয়েছে সৌরজগৎ। প্লানেটারি মেডিটেশন এরিয়া। এককথায় ছোটদের মনোরঞ্জনে প্রফেসর শঙ্কু পার্ক কলকাতার নতুন ডেস্টিনেশন। মঙ্গলবার থেকে রোববার প্রতিদিন বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত খোলা।

এ বিভাগের আরো খবর