বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অদ্ভুত, এমন পুঁজিবাজার জীবনে দেখিনি’

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ১৬:২৮

‘বাজারে গুজব ছিল, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বাতিল করে আগের মতোই ১০ শতাংশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি। সম্ভবত সেই গুজবেই কেউ শেয়ার কিনছে না।’

‘সর্বনিম্ন দামেও’ ১০০-এর বেশি কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা না থাকায় বিস্মিত পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক।

এক দিনে শেয়ারের দরপতনের সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের সপ্তম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৬৭ পয়েন্ট সূচক পতনের প্রতিক্রিয়ায় নিউজবাংলাকে এ কথা বলেন তিনি।

রোববার পুঁজিবাজারে লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে লেনদেন শুরু হওয়ার পরই দেখি প্রায় ১০০ কোম্পানির ক্রেতা নেই। অদ্ভুত-বাজার। এমন বাজার আমি আমার এই জীবনে দেখিনি।’

কেন এমন হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারে গুজব ছিল, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বাতিল করে আগের মতোই ১০ শতাংশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি। সম্ভবত সেই গুজবেই কেউ শেয়ার কিনছে না।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দিয়েছিল, তা ঠেকাতে ৮ মার্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নেয় দুটি পদক্ষেপ।

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দেয় প্রথমে। কিছুক্ষণ পর আসে দ্বিতীয় আদেশটি। জানানো হয়, এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থাকলেও সর্বনিম্ন সীমা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।

এর পরের চার কর্মদিবসে পুঁজিবাজার ফেরে উত্থানে। সূচকে যোগ হয় ৩০৯ পয়েন্ট।

তবে গত ১৪ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সূচক বলতে গেলে একটি জায়গায় স্থির ছিল। প্রথম দিন সূচক পড়ে ১ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট, পরের দিন বাড়ে ১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট, পরদিন বাড়ে শূন্য দশমিক ১১ পয়েন্ট।

গত তিন দিনই ৫০টিরও বেশি করে কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততই। রোববার লেনদেন শুরুর পর পরই পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে; যাতে বলা হয়, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বাতিল হচ্ছে। আগের মতোই দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ নির্ধারণ হচ্ছে।

দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ না থাকলে সূচক আরও পড়ত কি না, এ নিয়ে কথা উঠেছে

সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হয় দরপতন। বেলা ২টার দিনে ৭৫ পয়েন্ট পড়ে যায় সূচক। দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে ৬৭ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন।

দিন শেষে ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর হারায়। এর মধ্যে ২ শতাংশের কাছাকাছি দর হারায় দেড়শরও বেশি কোম্পানি। আর এই সর্বনিম্ন দরেও শেয়ারের ক্রেতা ছিল না শতাধিক কোম্পানির।

গত ৮ মার্চ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, ‘ভেবেছিলাম বড় পতনের ধাক্কা সামলে বাজারে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু আবার কেমন জানি লাগছে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে।’

‘আপনারা সাংবাদিক, আপনারাও খুঁজে বের করুন- বাজারের এই আচরণের অন্য কোনো কারণ আছি কি না।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৮ কর্মদিবসে সূচক পড়ে ৩৮২ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

নবম দিনে ৮ মার্চ লেনদেনের শুরুতে দেড় ঘণ্টায় সূচক পড়ে আরও ১৩৭ পয়েন্ট। তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক জেঁকে বসে। সে সময় বিএসইসির দুটি সিদ্ধান্তে ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার।

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দেয় প্রথমে। কিছুক্ষণ পর আসে দ্বিতীয় আদেশটি। জানানো হয়, এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থাকলেও সর্বনিম্ন সীমা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।

এর পরের চার কর্মদিবসে পুঁজিবাজার ফেরে উত্থানে। সূচকে যোগ হয় ৩০৯ পয়েন্ট।

পরের তিন কর্মদিবসে সূচক বলতে গেলে এক জায়গায় স্থির ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর