পারুল আক্তার ও শান্ত মল্লিকের প্রায় সাত মাস আগে বিয়ে হয়। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নেন। বিদেশ না গিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলেন। পারুল তার টাকার হিসাব চাইলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এর জেরে খুন হন পারুল আক্তার।
২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৪টার মধ্যে যেকোনো সময় পারুলকে তার স্বামী শান্ত মল্লিক হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্বামী আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা অলী আহম্মদ শান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
শনিবার রাতে শরিয়তপুর পালং থানা এলাকা থেকে শান্ত মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার দুপুরে সিআইডির এলআইসি শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পারুল আক্তার প্রায় সাত বছর জর্ডানে চাকরি করে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় নিজের নামে জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। একই সঙ্গে জর্ডানে থাকাকালে আসামির বোন তামান্নার সঙ্গে পারুলের সুসম্পর্কের সুবাদে আসামি শান্ত মল্লিকের সঙ্গে পারুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন বলেন, প্রায় সাত মাস আগে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুল আক্তারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নেশা ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলেন।
সিআইডি জানায়, বেশ কিছুদিন পর পারুল তার বিদেশ যাওয়া এবং তার কাছ থেকে নেয়া টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা আনুমানিক ১টার সময় পারুল তার জর্ডানে কষ্টার্জিত টাকার হিসাব চাইলে আবার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শান্ত মল্লিক পারুলের গলায় দড়ি প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মৃতদেহ ফেলে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যান তিনি।