মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১৬ মে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রোববার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল
তবে এদিন সাক্ষী উপস্থিত হননি। মামলার শুনানিতে বিচারক দিলারা আলো চন্দনা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন।
মামলার আসামিরা হলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ (এইচএম) এরশাদ, প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস।।
রোববার মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতে হাজিরা দেন। অন্য আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের পক্ষে উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ রয়েছে বলে তিনি আদালতে আসেননি।
এরই মধ্যে মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ (এইচএম) এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে মূল মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
১৯৯৫ সালে ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। মামলার ১৯ বছর পর মামলাটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছালেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়।
২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তার কর্মস্থল পরিবর্তন হওয়ায় এ মামলার বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ।
হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এই মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করান চেষ্টা করেন।
মঞ্জুর হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে থাকা মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।