বরগুনায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার বাবার বিরুদ্ধে মাইক্রোবাস থামিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না এলাকায় শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন গৌরীচন্না এলাকার দুই ভাই ৪৫ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম কনু ও ৩৫ বছর বয়সী সাইদুল ইসলাম সোহেল এবং তাদের চাচাতো ভাই ৪৫ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর হোসেন।
সোহেলের চাচাতো ভাই মো. নাইম জানান, সোহেল ঢাকায় চাকরি করেন। কয়েক দিন আগে পরিবার নিয়ে বরগুনায় আসেন। বৃহস্পতিবার তিনি স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়দের নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে শনিবার রাতে মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরছিলেন।
নাইম বলেন, ‘ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান দুরন্ত, তার বাবা জাহাঙ্গীর ঘরামিসহ পাঁচ থেকে ছয়জন গৌরীচন্না এলাকায় তাদের মাইক্রোবাস আটকে হামলা চালায়। তারা তিনজনকে কুপিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে।’
স্থানীয়রা তাদের বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক গুরুতর আহত সোহেল ও কনুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, ‘হামলা ও লুটপাটের খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলায় স্বজনদের কেউ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। তবে আমরা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য দুরন্ত ও তার বাবাকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও কেউ ধরেননি।