বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে ভাইরাল জাবি ছাত্রলীগ নেতা

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ০১:৫২

বঙ্গবন্ধুর বিয়ের বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু বিয়ে করেন ১৯২৮ সালে। পরে বলেন ১৯২৪ সালে, শেষে বলেন ১৯১৮ সালে বঙ্গবন্ধু সায়েরা খাতুনকে বিয়ে করেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন।

বঙ্গবন্ধুর বিয়ে নিয়ে ভুল তথ্য, তার পিতা-মাতার নাম ঠিকমতো বলতে না পারা, ভাই-বোনের সংখ্যায় ভুল বলাসহ বেশ কিছু ভুল তথ্য দিয়েছেন ওই নেতা।

অবশ্য নিজের এমন বক্তব্যকে প্রস্তুতির অভাব বলে সাফাই গেয়েছেন লিটন।

ছাত্রলীগ নেতার এ কর্মে চেপে ধরেছেন নেটিজেনরাও। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার জানাশোনার অভাবকেই দায়ী করছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে গত ১৭ মার্চ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন লিটন। অবশ্য বক্তব্য দেয়ার সময় পাশ থেকে তাকে বলে দেয়া হলেও সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আক্তারুজ্জামান সোহেলকে সভাপতি ও হাবিবুর রহমান লিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যবিশিষ্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় সংসদ।

লিটন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আপত্তি তুলতে থাকেন ক্যাম্পাসে তার সক্রিয়তার বিষয় নিয়ে। অভিযোগ করেন, স্থানীয় রাজনীতিতে তার বেশি সম্পৃক্ততা নিয়ে।

গত বৃহস্পতিবার বক্তব্য দেয়ার সময় একপর্যায়ে লিটন বঙ্গবন্ধুর পিতার নামের শুরুতে ‘শেখ’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুনের পরিবর্তে ‘সাহারা খাতুন’ বলে ফেলেন।

এরপর বঙ্গবন্ধুর বিয়ের বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিয়ে করেন ১৯২৮ সালে, পরে বলেন ১৯২৪ সালে, শেষে বলেন ১৯১৮ সালে বঙ্গবন্ধু সায়েরা খাতুনকে বিয়ে করেন।

অথচ জাতির পিতার জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। লিটন বঙ্গন্ধুর বিয়ে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জন্মের আগের বিভিন্ন সাল উল্লেখ করেন, যা হাস্যরসের চেয়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে বেশি।

বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই-বোনের সংখ্যা নিয়েও ভুল তথ্য দেন এই নেতা।

লিটন তার বক্তব্যে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন লুৎফর রহমান এবং সাহারা খাতুনের চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তৃতীয়। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাত বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। ফলে তার শিক্ষাজীবন চার বছর পিছিয়ে পড়ে। শিক্ষাজীবন পিছিয়ে যাওয়ার পরও তিনি দমে যাননি।’

বঙ্গবন্ধুর বিয়ে নিয়ে লিটন বলেন, ‘১৯২৮ সালে, না ১৯২৪ সালে, না ১৯১৮ সালে জনাব, জনাবা, ১৯১৮ সালে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। এরপর তার রাজনীতিক জীবন শুরুই করেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।’

এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে জাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘দিনব্যাপী প্রোগ্রামের পূর্বপ্রস্তুতি না নেয়ার ফলে আমি বক্তব্যের প্রস্তুতি নিতে পারিনি। ফলে ভুলবশত বঙ্গবন্ধুর নামে এমন তথ্য বলে ফেলেছি।’

জাতির পিতাকে নিয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। জাতির জনকের নামে তিনি এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় আমরা লজ্জিত। বঙ্গবন্ধুর পিতা-মাতার নাম ভুল বলে, বিবাহ সাল নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে তিনি নিজের যোগ্যতা ও জানাশোনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও এমন অজ্ঞতা কাম্য নয়, সেখানে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।’

লিটনের বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শাহরিয়ার মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী, যা পরে ভাইরাল হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর