বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহার্ঘ্য ভাতাসহ সরকারি চাকুরেদের ৭ দাবি

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২২ ১৭:৩৫

সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্যপরিষদ বলেছে, ‘পে-স্কেল ঘোষণা না হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দাবি না মানলে সারা দেশে সমাবেশের পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

নবম পে-স্কেল ঘোষণা, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্যপরিষদ। একই সঙ্গে পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠনটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি জানানো হয়। বলা হয়, পে-স্কেল ঘোষণা না হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দাবি না মানলে সারা দেশে সমাবেশের পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সংগঠনটির ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. পে-কমিশন গঠন করে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। তার পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত কর্মচারীদের অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে।

২. ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩. সচিবালয়ের মতো সব দপ্তর ও অধিদপ্তরের পদ-পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

৪. টাইম-স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি, ২০১৯-এর ভিত্তিতে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ।

৬. আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সব পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে।

৭. বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি সমন্বয় করে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ অবসর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলনে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেগুলোর পক্ষে ১ এপ্রিল চট্টগ্রামে, ৮ এপ্রিল সিলেটে, ৯ এপ্রিল ময়মনসিংহে, ১৫ এপ্রিল বরিশালে, ১৬ এপ্রিল খুলনায় ও ১৩ মে রংপুরে বিভাগে বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।

বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচির বাস্তবায়নের পর ২০ মের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ২৭ মে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা তাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভ নিরসনে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলেনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি লুৎফর রহমান। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী।

প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি, বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ১৭-২০ গ্রেড কর্মচারী সমিতি, স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর