বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোগীশূন্য ৪৮ জেলা, মৃত্যুহীন দিন

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২২ ১৭:১৯

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬২ জন, যা গত ২৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে ১০০-এর নিচে রোগী শনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫২৭ জন।

চলতি বছরে করোনায় চতুর্থবারের মতো মৃত্যুশূন্য দিন দেখল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। একই সঙ্গে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪৮টি জেলায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল দুজনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের তথ্য জানায় সরকার। সেদিন থেকে গত বছরের ২০ নভেম্বর প্রথম ও ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো মৃত্যুশূন্য দিন পার করে দেশ। এ নিয়ে ছয় দিনের মতো করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৬২ জন, যা গত ২৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে ১০০-এর নিচে রোগী শনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫২৭ জন।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ১১ এপ্রিলে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন মোট ৫৮ জন রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে কোনো মৃত্যু সংবাদ না থাকায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১১৪ জনে। করোনায় শনাক্তের হারও ১ শতাংশের নিচে নামছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

৪৮ জেলায় রোগী নেই

করোনা পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জেলাগুলোয় রোগীর পরিমাণ কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জেলা করোনা রোগীশূন্য ছিল। রোগী রয়েছে এমন ১৩ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় একজন করে করোনা ধরা পড়েছে।

করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে আবার নতুন ঢেউ আসে। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই ঢেউয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

এরপর দেশে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এর পর থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই কমতে থাকে শনাক্তের হার। গত ১১ মার্চ এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। সরকারের লক্ষ্য করোনাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।

এ বিভাগের আরো খবর