রংপুরের পীরগাছার ফেসবুক লাইভে এসে যুবককে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার চার আসামিকে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে র্যাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন রংপুরের শাহজাহান ইসলাম বাদল, ইমদাদুল হক, শামীমা ইয়াসমিন সাথী ও বিথী আক্তার।
রংপুরের পীরগাছা থানার ইমরোজ হোসেন রনি নামের ওই যুবক গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে ‘আত্মহত্যা’ করেন। এ সময় তিনি আত্মহননের জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর, ভায়রা ভাইসহ আরও কয়েকজনকে দায়ী করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪ বছর আগে পীরগাছার পশ্চিম হাগুরিয়ার হাশিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে বিয়ে করেন রনি। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলের জন্ম হয়।
এরপরই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হলে ৫ লাখ টাকা ও ভরণপোষণের জন্য অর্থ দাবি করেন তার স্ত্রী। একপর্যায়ে কাউকে না জানিয়ে স্ত্রী তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান।
সেখানে স্ত্রীকে আনতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে অপমান-অপদস্ত করেন। এ নিয়ে রনি ফেসবুক লাইভে এলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। পরে এ ঘটনায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান নিউজবাংলাকে জানান, আসামিরা সাভারে আত্মগোপনে রয়েছে- এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। শনিবার আসামিদের রংপুরের পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।