সরকারের নীতিসহায়তা ও স্থানীয় জুয়েলার্স কোম্পানিদের প্রচেষ্টা থাকলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজার জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২ আয়োজনে এসে এমন প্রত্যাশার কথা জানান এক্সপো আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাজুসের কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক।
তিন দিনের ওই এক্সপো শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে, শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। এটি দেশের স্বর্ণশিল্পের ইতিহাসে প্রথম আয়োজন।
মেলায় ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়। প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ৭০টি দেশি স্টল।
উত্তম বণিক বলেন, ‘শুধু নীতিমালা না হওয়ায় বাংলাদেশের জুয়েলারি এখনও রপ্তানিমুখী করা সম্ভব হয়নি। একটি গয়না তৈরি করে কীভাবে আমরা দেশের বাইরে পাঠাব, এটা এখনও সহজ হয়নি। সরকারের নীতিসহায়তা এবং স্থানীয় জুয়েলার্স কোম্পানিদের প্রচেষ্টা থাকলে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে গয়নার বিশ্ববাজার দখল করা সম্ভব।’
আমিন জুয়েলার্স লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা (বিক্রয়) সুমন আহমেদ বলেন, ‘বিকেল থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন মেলা যেহেতু প্রথম, মানুষের আগ্রহ ছিল অনেক। এ মেলায় আমরা শুধু দেশীয় জুয়েলারি মানুষের সামনে আনার চেষ্টা করেছি। এর কারণ বিশ্বের কাছে আমাদের এই জুয়েলারিকে তুলে ধরতে হবে। এই মেলার মাধ্যমে দেশীয় গয়নার ডিজাইন বিশ্বের কাছে পৌঁছাবে।’
উত্তরা স্কয়ারের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার ইসমা আরা মিতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলেই এ ধরনের মেলা বাংলাদেশে প্রথম, মেলার স্টলগুলো আমি ঘুরে দেখেছি। প্রতিটি স্টলে চৎমকার সব জুয়েলারি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বেশ কিছু বিশেষ জুয়েরারি দেখলাম। আমি একটা কিনেছি। সব মিলিয়ে মেলার পরিবেশ খুবই চমৎকার।’
মেলার বিষয়ে প্রচারণা কম ছিল বলে জানান ইসমা মিতা। বলেন, ‘মেলা শুরুর আগ থেকে যদি আরেকটু প্রচার হতো তাহলে আরও লোক সমাগম হতো।’
গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্সের চেয়ারম্যান ফারিদা হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুব ভালো একটি মেলা হচ্ছে। আমাদের দেশে কারিগর দিয়ে গয়না তৈরি করে বাজারের পরিধি বাড়াতে চাই। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে এই গয়না রপ্তানি করতে চাই, এটিই মেলার উদ্দেশ্য।’
মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য ২৫ লাখ টাকার নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার রাখা হয়েছে। র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে এই ২৫ লাখ টাকা দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার হিসেবে একজন পাবেন ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ লাখ টাকা পাবেন একজন। এ ছাড়া ১ লাখ টাকা করে ১০ জন পাবেন পুরস্কার।
মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, মেলায় প্রবেশের সময় নির্ধারিত কুপন পূরণ করে বক্সে রেখে যাবেন দর্শনার্থীরা। মেলার শেষ দিন এই কুপনগুলো থেকে র্যাফেল ড্র করা হবে।