মুক্তিবারিধি শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ১৭৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন হয়েছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল শ্রী শ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে শুক্রবার বিকেলে ধর্মীয় গান ও আলোচনার মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইন্টারন্যাশনাল শ্রী শ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের সভাপতি মতুয়াচার্য শ্রী সুপতি ঠাকুর শিবু বলেন, ‘এই প্রথম জাতীয় প্রেসক্লাবে গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মউৎসব পালিত হলো। আমরা খুবই আনন্দিত। প্রেসক্লাবে উলুধ্বনি হচ্ছে, এটা খুব ভালো লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুরুচাঁদ ঠাকুর জীবনে গ্রামাঞ্চলে এক হাজার ৮৮২ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এতগুলো স্কুল প্রতিষ্ঠা করেও নিজের নামে কোনোটির নাম দেননি। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সব ক্ষেত্রেই অবদান রেখেছেন। তাই তাকে বিশ্লেষণ করা সম্ভব না।’
কে এই গুরুচাঁদ ঠাকুর
গুরুচাঁদ একজন বাঙালি সমাজসংস্কারক ও শিক্ষাব্রতী। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়ন, দলিত হিন্দুদের শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের পথিকৃৎ। তিনি তৎকালীন ব্রাহ্মণেরা চন্ডাল তথা নিচু জাতের প্রতি নিপীড়ন ও শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করাসহ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে ‘নমশূদ্র’ নামকরণ করেন।
শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে গণআন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তিনি। ১৮৮১ সালে তার উদ্যোগে ও সভাপতিত্বে খুলনার দত্তডাঙায় প্রথম নমঃশূদ্র মহাসম্মেলন হয়। সমাজের অবহেলিত মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ডা. এক কে রায়, ইন্টারন্যাশনাল শ্রী শ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক হিরেন সুজনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।