বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছেলের অভিযোগে ‘কাটা ঘরে’ বাবার মরদেহ

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২২ ২০:২৭

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে হাঁটাহাঁটি করার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত হন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের শ্রীবাড়ী এলাকার মো. জালাল উদ্দিন।

কাফনে মোড়ানো ছিল মরদেহ। দাফনের জন্য কবরও তৈরি। জানাজার জন্য মানুষও জড়ো হয়েছে। কিন্তু ছেলের অভিযোগে দাফনের বদলে বাবার মরদেহ গেল লাশ কাটা ঘরে।

বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের শ্রীবাড়ী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘিওর থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর জালাল উদ্দিনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মরদেহ করব দেয়ায় আগে তার মেজো ছেলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।

মেজো ছেলে নুরুল ইসলামের অভিযোগ, বাবা জালাল উদ্দিনকে তার ভাইয়েরা হত্যা করেছে। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্যরা দুর্ঘটনার কথা বললেও নুরুল ইসলাম তার বাবার মরদেহের ময়নাতদন্ত দাবি করেন।

নিহতের বড় ছেলে তারা মিয়া দাবি করেন, তার ভাই নুরুল ইসলাম নেশার সঙ্গে জড়িত থাকায় বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। স্ত্রী-সন্তানও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। নিজের ভাগের সম্পত্তি দাবি করতেন।

কিন্তু নুরুল ইসলামকে তার বাবা সম্পত্তির ভাগ দিতে রাজি ছিলেন না। এ জন্য অনেক সময় বাবা ও ভাইদের গায়েও হাত তুলতেন তিনি। এসব বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বিচার-সালিশও হয়েছে।

তারা মিয়া বলেন, ‘আসলে সম্পত্তির কারণেই বাবার লাশের সঙ্গে সে (নুরুল ইসলাম) এমন ব্যবহার করেছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রওশন আলম মোল্লা বলেন, ‘আমরা সবাই বলার পরও নুরুল ইসলাম বিশ্বাস করল না। বাবা ও ভাইদের সঙ্গে রাগ ছিল সেটা অন্য কথা। কিন্তু বাবার মরদেহ নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো তার ঠিক হয়নি।’

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে হাঁটাহাঁটি করার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত হন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের শ্রীবাড়ী এলাকার মো. জালাল উদ্দিন। চার ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির সাবেক এই কর্মচারী।

এ বিভাগের আরো খবর