করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৩ মাসের মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২০২০ সালের ১১ এপ্রিল মোট ৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। আর গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৮ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন রোগী নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৭।
টানা তিনটি মৃত্যুহীন দিন কাটানোর পর শুক্রবার আরও দুজন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১১৪।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হন ১ হাজার ৪৫৯ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬২০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
৪৭ জেলায় রোগী নেই
করোনা পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জেলাগুলোয় রোগীর পরিমাণ কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জেলা করোনা রোগীশূন্য ছিল। যে ১৪ জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে তা ১০ জনের নিচে।
করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে আবার নতুন ঢেউ আসে। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই ঢেউয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এর পর থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই কমতে থাকে শনাক্তের হার। গত ১১ মার্চ এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে ভাইরাসটির ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা যাবে। আর করোনার ঢেউয়ে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার কমে ৫ শতাংশের নিচে নেমে পরপর দুই সপ্তাহ এই পরিস্থিতি থাকলে ঢেউটি নিয়ন্ত্রণে বলে বিবেচনা করা হয়।