সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রধান আসামি রেজাউল করিম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া রেজাউল করিম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহযোগী যুব সংগঠনের তাড়াশ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পৌর এলাকার বাসিন্দা আমিরের ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আরশেদুল ইসলাম শুক্রবার সকালে মামলাটি করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তাড়াশ সদরের জিকেএস মোড়ে সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। বুধবার দিনগত গভীর রাতে ওই ম্যুরালে কে বা কারা ওয়াজ মাহফিলের একটি পোস্টার সাঁটায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় শিশু দিবস অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে পথচারীদের নজরে আসে বিষয়টি। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যেও উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পোস্টার থেকে জানা যায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহযোগী সংগঠন বামুক ও আইএবি তাড়াশ শাখার উদ্যোগে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ওই মাহফিল ও জিকিরের আয়োজন করা হয়েছে। তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে ওই মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের।
তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক বলেন, ‘পোস্টার লাগানোর ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইসলামী আন্দোলন তাড়াশ শাখার যুব নেতা রেজাউল করিমের নামে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৫/৩ ধারায় মামলা হয়। পরে আসামি রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’