করোনা মহামারির মধ্যে মাস্ক না পরে আলোচনা সভায় অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের ভর্ৎসনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি দলের নেতাদের মাস্ক পরতে বলেন।
গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন দলপ্রধান শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা খেয়াল করলেন, টুঙ্গিপাড়ায় আলোচন সভায় সমবেত দলের নেতাকর্মীদের অনেকেই মাস্ক পরেননি।
তখন তিনি বলেন, ‘আজকে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি, কেউ কিন্তু মাস্ক পরেন নাই।’
ওই সময়ে নেতাকর্মীরা তড়িঘড়ি করে পকেটে রাখা মাস্ক বের করে পরতে শুরু করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পকেটে রাখলে তো আর হবে না। পরতে হবে। কারণ নিজের সুরক্ষা নিজের কাছে। এখনও কিন্তু প্রাদুর্ভাব সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায়নি।’
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর নানা বিধিনিষেধ তুলে দিলেও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা এখনও রয়ে গেছে। দেশবাসীর মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা কিছুটা হলেও বেড়েছে, সেটি স্পষ্ট। তবে এর ছিটেফোঁটাও ছিল না আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
দলীয় নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অনেকক্ষণ থেকে লক্ষ্য করছিলাম, অনেকের কাছে মাস্ক নেই। নিজেকে এভাবে শঙ্কার মধ্যে ফেলার কী অর্থ থাকতে পারে?’
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার কাছে এটা আমার অনুরোধ থাকবে, মিটিংয়ে থাকেন, কথা বলেন, স্লোগান দেন, সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষাটাও মেনে চলেন। তাতে নিজের জন্য ভালো হবে, সবার জন্য ভালো হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি, স্কুল চালু করেছি। কিন্তু আপনার সুরক্ষা, আপনাকে নিতে হবে। ভালো থাকতে হলে, সুস্থ থাকতে হলে কথাগুলো সবাইকে মানতে হবে, সেই কথাটা সবার মনে রাখতে হবে।’
দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।’