বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২২ ১৬:৪৯

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা বলেন, ১৮ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন, যা অমানবিক। মাধ্যমিক পর্যায়ের এন্ট্রি লেভেলের একজন শিক্ষক ১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে উৎসব ভাতা পান ৩ হাজার ১২৫ টাকা। মাদ্রাসার একজন ইবতেদায়ি লেভেলের শিক্ষক ৯ হাজার ৩০০ টাকা স্কেলে উৎসব ভাতা পান ২ হাজার ৩২৫ টাকা।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার হিসেবে সরকারের কাছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি জানিয়েছেন।

‘শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি’র ব্যানারে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৩৬ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির প্রথম দিনে এ দাবি জানানো হয়। ১৩টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংগঠন এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা বলেন, ১৮ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন, যা অমানবিক। মাধ্যমিক পর্যায়ের এন্ট্রি লেভেলের একজন শিক্ষক ১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে উৎসব ভাতা পান ৩ হাজার ১২৫ টাকা। মাদ্রাসার একজন ইবতেদায়ি লেভেলের শিক্ষক ৯ হাজার ৩০০ টাকা স্কেলে উৎসব ভাতা পান ২ হাজার ৩২৫ টাকা।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে কোনো শিক্ষক, কর্মচারীর পক্ষেই এত অল্প টাকা নিয়ে আনন্দের সঙ্গে ঈদ করা সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের ঘোষণা ও পরিপত্র জারি করে তাদের ঘরে ফেরাতে পারেন।

শিক্ষকরা বলেন, ‘শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি’ শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে গত ঈদুল ফিতরের নামাজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আদায় করে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে। গত বাজেট সেশনের আগে অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপিকে স্মারকলিপি দিয়ে বিষয়টি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

এর ফলে বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ৬ এমপি শতভাগ উৎসব ভাতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে আবারও ঈদুল ফিতর চলে আসছে।

অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা সংগঠনগুলো হলো

বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (ড. ইদ্রিছ জসিম), বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ মঞ্চ, বাংলাদেশ সাধাসিক কারিগরি শিক্ষক পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিত (আ. মান্নাফ-প্রিন্স), বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজ এবং বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফেডারেশন।

এ বিভাগের আরো খবর