টানা তিন দিনের ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন মানুষ। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ পড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়েছে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মালবাহী বিভিন্ন যানবাহন। ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এর ফলে ছুটির দ্বিতীয় দিনেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, এই নৌরুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে দুপুরের দিকে চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, প্রায় ১০০ বাস ও শতাধিক ছোট যানবাহন গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে।
নিউজবাংলাকে ট্রাকচালক হানিফ আলী বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এসে সিরিয়ালের অপেক্ষায় আছি। সিরিয়াল পাইলেই ফেরিতে উঠতে পারব। কিন্তু যে অবস্থা দেখতাছি, মনে হয় না আজকে পার হতে পারব।’
পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী আব্দুল হালিম মিয়া বলেন, ‘প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছি। দেখি কখন ফেরিতে উঠতে পারি। গরমের মধ্যে বসে থাকতে অস্থির লাগে।’
আরেক যাত্রী রাজবাড়ীর আকলিমা আক্তার বলেন, ‘জ্যামের মধ্যে আসতে পারলেও ফেরিঘাটে আইসা আটকা পরলাম। ফেরি পার হতে পারলেই চিন্তামুক্ত। বাড়ির কাছে আইসা গরমের মধ্যে গাড়িতে বসে থাকা খুব বিরক্ত লাগছে।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে শুধু ট্রাকের চাপ ছিল। ছোট ও যাত্রীবাহী বাসের কোনো চাপ ছিল না। কিন্তু বেলা ১টার পর থেকে ছোট ছোট গাড়ি ও বাসের চাপ বাড়তে থাকে। এ কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে।’
যানজটের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বড় কোনো উৎসব বা টানা কয়েক দিন ছুটি থাকলে ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়ে। তবে এই চাপ বেশি সময় থাকে না। সকালে থাকলে বিকেলে স্বাভাবিক হয়ে যায়।’
যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ কমলে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে বলেও জানান তিনি।