বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহা আরামে ঘুমের দিন

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২২ ১৫:৪৯

আমেরিকান স্লিপ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ৫ থেকে ৭ কোটি মানুষ ঘুমজনিত নানা সংকটে আক্রান্ত, আড়াই কোটি মানুষ ভুগছেন নিদ্রাহীনতায়। দেখা গেছে, ঘুমজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে ইনসমনিয়া নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন বেশি মানুষ। সাধারণত ইনসমনিয়া হলো পুরো রাত ধরে ঘুমাতে না পারা।

‘ঘুম ভাঙার পর যেন আমার মন ভালো হয়ে যায়।/ হলুদ-তেল মাখা একটি সকাল,/ ঝরনার জলে বৃষ্টিপাতের মতন শব্দ/ ঝুল বারান্দার সামনের বাগানে কেউ হাসছে/ শীতের রোদ্দুরের মতন।’

খুব ভালো ঘুমের পর নিজের অনুভূতিকে ‘ঘুম ভাঙার পর’ কবিতায় এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

কবি মনের মতো সবাই নিজের অনুভূতিকে মেলে ধরতে না পারলেও ভালো ঘুমের পর মন, মেজাজ সব থাকে চনমনে। আর এ কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঘুমকে বলা হয় মূল ভিত। বিজ্ঞান বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম শুধু দেহে শক্তি জোগায়, সচল রাখে তা নয়, সুস্থ রাখে মানসিক ও আবেগীয় স্বাস্থ্যকেও।

‘ভোর হলো দোর খোলো/ খুকুমণি ওঠো রে!’- জাতীয় কবি কাজী নজরুলের এই কাব্য ভুলে আজ আরাম করে ঘুমানোর দিন। নগরজীবনের কর্মব্যস্ততা, চাপ, যন্ত্রণা সব ভুলে ঘুমিয়ে নিতে পারেন আজ। কারণ, বিশ্ব ঘুম দিবস আজ।

‘কোয়ালিটি স্লিপ, সাউন্ড মাইন্ড, হ্যাপি ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার ৭০ দেশে উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব ঘুম দিবস।

অনিদ্রা সমস্যায় অনেকে জেগে থাকেন রাতের পর রাত। শারীরিক ক্লান্তি নিয়েও বন্ধ হয় না চোখ। রাত ফুরিয়ে ভোর আসে, কিন্তু চোখে বেয়ে নামে না ঘুমের ডাক। এমন মানুষদের সহমর্মিতা জানিয়ে এ সমস্যা দূর করতে ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয় বিশ্ব ঘুম দিবস উদযাপন।

বসন্তের মহাবিষুবের আগের শুক্রবার দিনটি পালনের রীতি রয়েছে। ঘুম, ঘুমের ওষুধ, ঘুম নিয়ে পড়াশোনা, নির্ঘুম থাকা প্রতিদিনের জীবনের যে প্রভাব ফেলতে- এমন সব বিষয়ের ওপর আলোকপাত করতেই এই দিনটির আয়োজন।

ঘুম নিয়ে হালকা থেকে গভীর, মাপকাঠি যাই হোক, এটিকে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন একটি আধুনিক সমস্যা হিসেবে। তাদের দাবি, এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মানবজীবনের পুরোটা ছিনতাই হয়ে যেতে পারে।

আমেরিকান স্লিপ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ৫ থেকে ৭ কোটি মানুষ ঘুমজনিত নানা সংকটে আক্রান্ত, আড়াই কোটি মানুষ ভুগছেন নিদ্রাহীনতায়। দেখা গেছে, ঘুমজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে ইনসমনিয়া নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন বেশি মানুষ। সাধারণত ইনসমনিয়া হলো পুরো রাত ধরে ঘুমাতে না পারা।

ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি ও ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটির যৌথ আয়োজনে এই দিনটির সূচনা করেন ঘুম নিয়ে গবেষণারত বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যবিদ এবং শিক্ষার্থী।

তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য হলেন বিশ্ব ঘুম দিবস আয়োজনের প্রথম কো-চেয়ার ইতালির পারমা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লিবরিও পারিনো এবং যুক্তরাষ্ট্রের আপস্টেস মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক অ্যান্তনিও কুলব্রাস।

দিনটির মূল লক্ষ্য হলো, মানুষকে একত্র করা, ঘুমের সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলে সমাধান খোঁজা, যাদের এখনও অনিদ্রা সমস্যা শুরু হয়নি, তাদেরকে সুরক্ষিত করা।

ঘুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা ও ঘুমহীনতা থেকে মানুষ মুক্তি দিতে নতুন নতুন সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি। যাতে আক্রান্ত মানুষ এগিয়ে আসতে পারে, কাটাতে পারে ঘুমের সমস্যা।

শুক্রবার ছুটির দিন। তাই মহা আরামে ঘুমিয়ে নেয়ার অবারিত সুযোগ পাচ্ছেন অনেকেই। আর যারা অফিস করছেন, কাজের ফাঁকে তারাও নিতে পারে ২০ মিনিটের একটি পাওয়ার ন্যাপ। যা আপনাকে চনমনে করে তুলবে। আর ঘুম দিবসও উদযাপন হয়ে গেল।

এ বিভাগের আরো খবর