বাজারমূল্য বিবেচনায় পোশাকশ্রমিকদের মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার পাশাপাশি প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে ন্যায্যমূল্যের দোকান স্থাপনের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
সমাবেশে এক বক্তা বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে পোশাকশ্রমিকদের বর্তমান মজুরি কাঠামো কার্যকর হয়েছে। সে সময় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টসহ অন্য সংগঠনগুলো সংবিধানের বৈষম্যহীন রাষ্ট্র আকাঙ্ক্ষা এবং ২০১৫ সালের পে-কমিশনের ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি করেছিল, কিন্তু শ্রমিকদের সেই দাবি পাশ কাটিয়ে মালিক প্রভাবিত মজুরি বোর্ড ন্যূনতম মজুরি মাত্র ৮ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিল, যা শ্রমিকদের পুষ্টি এবং জীবনমান রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় ছিল অপ্রতুল।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে চালের দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ, ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। মাছ, মাংস, ডিম, সবজিসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এই সময়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মতো মৌলিক পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ৩৮, ২২ ও ২৩ শতাংশ। সেই তুলনায় পোশাকশ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।
ওই বক্তার ভাষ্য, করোনার আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ২.৫ শতাংশের বেশি। অথচ বাড়েনি শ্রমিকের মজুরি বাবদ ব্যয়।
সমাবেশে অবিলম্বে পোশাকশ্রমিকদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করার পাশাপাশি অন্তবর্তী সময়ে শতভাগ মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার দাবি জানানো হয়।
প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে ন্যায্যমূল্যের দোকান বসানোর কথাও উঠে আসে কর্মসূচিতে।