প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যমূলক কোটাপ্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছে অধিকারবঞ্চিত বেকার সমাজ। তারা জানান, কোটার কারণে বেকার যুবক শ্রেণি হতাশায় ডুবে গেছে, পরিবার ও সমাজের কাছে অনীহার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অধিকারবঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে (১-১৩তম গ্রেড) প্রবেশে সব ধরনের কোটা বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবিধানেও নিয়োগে বৈষম্য করা যাবে না স্পষ্ট নির্দেশনা আছে।
‘এমন একটি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে একটি বিশেষ বিধান সংযুক্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর; যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সংবিধানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জেনে থাকবেন এখানে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ শিক্ষকদের পোষ্য তথা পরিবার কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবন্ধী, এতিম বা অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ বিবেচনায় কোটা প্রদান করা যাবে, কিন্তু এখানে সেটি মানা হয়নি।
‘প্রতিবন্ধীরা কোটা না পেলেও শিক্ষকদের সন্তান ও স্ত্রীর জন্য কোটা রাখা হয়েছে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া নারী কোটা ৬০ শতাংশ একটি অতিমাত্রার কোটা প্রয়োগ। এমন অবস্থায় বেকার যুবক শ্রেণি হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে, পরিবার ও সমাজের কাছে অনীহার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বেকার আত্মহত্যা করেছে। এমন বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালতে রুল জারি করলেও এর মাঝেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের নিপীড়নমূলক কোটা নীতি প্রয়োগ করে নিয়োগের তৎপরতা চালাচ্ছে, যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি জানান, বেকারদের অনেক কষ্ট দিয়েছেন। আপনারা আর কালক্ষেপণ করবেন না। অতিদ্রুত নিয়োগে স্বচ্ছতা এনে, কোটা বাতিল করে বিদ্যমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।