বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চা-দোকানি হত্যার অভিযোগে আটক ২ যুবক

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২২ ১৪:২৬

সোলাইমানের মামা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রেললাইনে প্রায়ই ছিনতাই হয়। মাদক কারবারিরা এখানে নিয়মিত আড্ডা দেয়। সোলাইমানের দোকানে ভালো-খারাপ সব ধরনের লোকজনই আসত। তবে আমার ভাগিনা কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।’

গাজীপুরের টঙ্গীতে মাদক কারবার, ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে এক চা-দোকানি নিহতের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিজ নিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের আটক করা হয়।

ওই দুই যুবক হলেন টঙ্গীর মরকুন তিস্তারগেট এলাকার ২৮ বছর বয়সী সজল মিয়া ও নোয়াগাঁও এলাকার বাহরাইলের বাড়ির ২৪ বছর বয়সী সুজন মিয়া।

টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ছিনতাই, মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি ও মরকুন পশ্চিমপাড়া এলাকার দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। বুধবার বিকেলে কসাইবাড়ির রায়হানের নেতৃত্বে এক দল যুবক ও কিশোর মরকুন পশ্চিম পাড়ার কয়েকজন যুবককে মারধর করে।

এর জেরে ওই দিন রাত ৮টার দিকে সজল মিয়ার নেতৃত্বে মরকুন পশ্চিম পাড়া গ্রুপের সদস্যরা দত্তপাড়া কসাইবাড়ি এলাকায় মহড়া দেয়। এ সময় চা-দোকানি মো. সোলাইমান তার দোকান থেকে মহড়ার ছবি তুলছিলেন। ওই যুবকরা তখন তাকে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়।

স্থানীয়রা তাকে প্রথমে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সোলাইমানের মৃত্যু হয়।

২১ বছর বয়সী নিহত সোলাইমানের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পলসা গ্রামে। তিনি কসাইবাড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ও ওই এলাকায় রেললাইনের পাশে চায়ের দোকান করতেন।

সোলাইমানের মামা নাজমুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রেললাইনে প্রায়ই ছিনতাই হয়। মাদক কারবারিরা এখানে নিয়মিত আড্ডা দেয়। সোলাইমানের দোকানে ভালো-খারাপ সব ধরনের লোকজনই আসত। তবে আমার ভাগিনা কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।’

পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়েছে। দাফন শেষে পরিবার হত্যা মামলা করবে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর