বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কক্সবাজারে তিন দিনে ৫০ কোটির ব্যবসার আশা

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২২ ১৩:৩৫

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলসহ গেস্ট হাউসের সংখ্যা ৫১৬টি। যেখানে অন্তত তিন লাখ পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এসব হোটেল-মোটেলের প্রায় সবকটি কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া মোতায়েন করা হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশও।

সৈকতের কূলে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। নোনা জলের ঢেউয়ে মেতেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। সৈকতের যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। তিনটি পয়েন্টে পরিবার-পরিজন বা প্রিয়জনকে নিয়ে কেউ সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, কেউবা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী, শবে বরাত ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি। তাই এ সময়টুকুকে আনন্দময় করতে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল।

ইতিমধ্যে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলসহ গেস্ট হাউসের প্রায় সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এতে আয় হবে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার বেশি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলসহ গেস্ট হাউসের সংখ্যা ৫১৬টি। যেখানে অন্তত তিন লাখ পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এসব হোটেল-মোটেলের প্রায় সবকটি কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে মাঠে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া মোতায়েন করা হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশও।

সৈকতে পর্যটক আগমনে চাঙা হয় পর্যটন ব্যবসা। টানা তিন দিনের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ছুটে আসায় দারুণ খুশি সৈকতের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ওয়াটার বাইক, ফটোগ্রাফার, কিটকট ব্যবসায়ী ও হকাররা পার করছেন ব্যস্ত সময়।

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকল গুজব বা নানা সমালোচনার মধ্যেও ভালো ব্যবসার আশা জেগেছে। দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা বা করোনার থাবা থেকে মুক্ত হয়ে বড় কোনো ব্যবসার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ৫১৬টি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের প্রায় শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পর্যটন নগরীতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটক।’

পর্যটকদের নিরাপত্তায় জোরদারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি থাকবে আগত পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন না হন। পর্যটনশিল্প ধরে রাখতে হলে পর্যটকদের গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে বিভিন্ন গুজব ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ধস নামবে এ শিল্পে।’

রাজশাহী থেকে আসা সাইদুজ্জামান বলেন, ‘টানা ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এসেছি। দুই দিন এখানে ঘুরেফিরে আবারও ঢাকায় ফিরব। টানা ছুটিতে পরিবারকে সময় দেয়াই মূল উদ্দেশ্য। এত লম্বা ছুটি তেমন মিলে না। তাই এবারের সুযোগটা পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছি।’

আরেক পর্যটক ইব্রাহিম বলেন, ‘তীব্র গরম পড়ছে। তার মাঝেও কক্সবাজার সৈকতে ঘুরে বেশ মজা পাচ্ছি। কিছুক্ষণ নোনা জলে গোসল করছি, আবার বালিয়াড়িতে উঠে বালি নিয়ে খেলা করছি। ছুটিটা বেশ উপভোগ করছি কক্সবাজার এসে।’

ভিজ টা বে নামে একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘তিন দিনের ছুটিকে সামনে রেখে হোটেলের সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেক ফোন আসছে বুকিংয়ের জন্য। কিন্তু আমরা বুকিং নিতে পারছি না। আশা করছি অনেক দিন পরে ভালো ব্যবসা হবে।’

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৭-১৯ তারিখের জন্য সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। সব খাতে মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসার আশা করছি।’

কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, ‘সারা বছরের জন্য এ দুই দিন ব্যবসা হবে। কারণ করোনাভাইরাস ব্যবসায়ীদের বড় লোকসানে ফেলেছে। বিশেষ করে হোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটন খাতে জড়িতরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সে অনুযায়ী এমন দুই-এক দিনের ব্যবসা তেমন কিছুই হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গড়ে প্রতি হোটেলে দুই লাখ টাকা করে ধরলেও প্রায় ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকার ব্যবসা হবে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে তো আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতির মুখে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে সকল হোটেল-মোটেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকা তিনটি পয়েন্ট অতি গুরুত্ব দেয়া হবে। এর বাইরেও যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে।’

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টানা ছুটিতে সৈকত এলাকা, হোটেল-মোটেল জোন ও পর্যটন স্পটগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ রাতের বেলায় মোটরসাইকেলযোগে টহলে থাকবে। আশা করি, পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে টানা ছুটিতে কক্সবাজার ঘুরতে পারবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর