কামেশ্বরী মন্দিরের ফটক খোলার অনুষ্ঠানে বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের ‘আমন্ত্রণ’ না করায় মারধরের শিকার হয়েছেন মন্দির পূজা কমিটির সভাপতি।
বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ ধর্মরক্ষ্মীনি সভাগৃহে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানান জয় দুর্গা কামেশ্বরী মন্দির পূজা কমিটির সভাপতি জগদীশ বৈদ্য।
তিনি বলেন, ‘জয় দুর্গা কামেশ্বরী মন্দির বছরে এক মাস বন্ধ থাকে। নির্ধারিত সময়ের পর মন্দির কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র দে অনুমতি দিলে এবার মন্দিরের ফটক খোলা হয়।
‘ফটক খোলার সময় মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের অনুমতি নেয়া হয়নি এবং নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়। পূজা উদযাপন পরিষদের এই কমিটি জোরপূর্বক বিভিন্ন মন্দিরে হস্তক্ষেপ করছে। বিগত দিনের কমিটিগুলো এমন আচরণ করেনি।’
জগদীশ বৈদ্য জানান, তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাসায় ফেরার সময় মারধরের শিকার হন।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পৃথকভাবে ফোন করে তাকে ধর্মরক্ষ্মিনী সভাগৃহে ডেকে নেন। এবার মন্দির খোলার সময় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলে সেখানেই মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নেন।
মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা বলেন, ‘জগদীশকে ডেকে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন মন্দির খোলার সময় আমাদের জানানো হয়নি। তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
‘মহানগরের সব মন্দিরে আমাদের হস্তক্ষেপ করার বৈধতা আছে, তবে আমরা কোনো কমিটির উপর জোর জুলুম করিনা। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় পরিচালিত হয় আমাদের কমিটি, এখানে অন্য কারো হস্তক্ষেপ নেই।’