বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতির পিতার জন্মদিনে ভিন্ন রকম এক আয়োজন

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ২২:৩৩

বিপ্লব কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। এই দিনে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে; এ এক ভিন্ন আনন্দ; অন্য ধরনের তৃপ্তি। ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো যাবে না।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ভিন্ন রকম এক আয়োজন করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

এই আয়োজন ছিল সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে। আয়োজনে অতিথি ছিল ১০০-এর মতো পথশিশু। তারাই প্রাণখুলে আনন্দ-উল্লাস-চিৎকার-চেঁচামেচিতে পালন করেছে দিবসটি। সারাটা দিন তাদের সঙ্গে ছিলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

এই পুলিশ কর্মকর্তা মাঝেমধ্যেই এমন ভিন্ন ধরনের আয়োজন করে থাকেন। সব সময়ই তিনি শিশুদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটাতে ভালোবাসেন।

বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, পুরো স্থানটি দৃষ্টিনন্দন সাজে সাজানো হয়েছে। শিশু অতিথিদের আগমনে এক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সব শিশুর মুখে হাসি; যেন এক ভিন্ন জগতে এসেছে সবাই। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’ থেকে আসা কোমলমতি এই শিশুদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। এরপর এই শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন তিনি; তাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনে অংশগ্রহণ করেন। সঙ্গে ছিলেন অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

মধ্যাহ্নভোজন শেষে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নানা শিক্ষাসামগ্রী। নতুন ব্যাগ, খাতা, রং পেন্সিল, কলম, জ্যামিতি বক্স ইত্যাদি। এসব শিক্ষা উপকরণ হাতে পেয়ে প্রতিটি শিশু আনন্দে মেতে ওঠে।

এরপর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাচরণ, জীবনদর্শন ও ত্যাগ-তিতিক্ষার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বিপ্লব কুমার সরকার শিশুদের নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘর’ পরিদর্শনে যান। সেখানে শিশুরা জাদুঘরে প্রতিটি ফ্লোর ঘুরে ঘুরে দেখে এবং তাদের জিজ্ঞাসু মনের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এই আয়োজন প্রসঙ্গে বিপ্লব কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। এই দিনে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে; এ এক ভিন্ন আনন্দ; অন্য ধরনের তৃপ্তি। ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু তার আজীবন সংগ্রামে সব সময়ই বলেছেন, আমার মূল লক্ষ্য বাংলার দরিদ্র, নিঃস্ব, নিপীড়িত ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের কমলমতি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস সেটারই একটা অংশ।’

‘শিশু ‍দিবস উপলক্ষে আমরা এটাই মনে করি- যারা নিঃস্ব, দরিদ্র, পথশিশু, যারা অবহেলায় অনাদরে বেড়ে উঠছে তাদের যদি বঙ্গবন্ধুর এ আদর্শে অনুপ্রাণিত করা যায়, বঙ্গবন্ধু কী ছিলেন, বঙ্গবন্ধু কেমন ছিলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের জন্য কী করে গেছেন, কতটুকু আত্মত্যাগ করেছেন- এসব যদি আমরা শিশুদের বোঝাতে পারি, তাহলে এই দিনটি সার্থক হবে।’

‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে চাই সোনার মানুষ। আজকের যারা শিশু তারাই একসময় সোনার মানুষ হবে। তারাই সোনার বাংলা গড়বে।’

এ বিভাগের আরো খবর