বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মায়ের আদেশ’কে হারিয়ে প্রথম ‘শাহজালালের দোয়া’

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ২২:০১

আলাল মিয়া বলেন, ‘যেখানেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানেই আমি অংশ নিই। মাঝে মধ্যে জিতি, আবার মাঝেমধ্যে হারি। তাতে কোনো সমস্যা নাই। প্রতিযোগিতায় অংশ নিই আনন্দের সঙ্গে। আজ আমার ঘোড়া প্রথম স্থান অর্জন করেছে, সেজন্য আমি খুবই খুশি।’

এক সময়ের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা এখন অনেকটাই হারিয়ে গেছে। এই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক স্টেডিয়ামে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৫টি ঘোড়া অংশ নেয়।

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দুপুর থেকেই নানা বয়সী মানুষ স্টেডিয়ামে আসেন। তবে প্রচারণার অভাবে কাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় আসেননি বলে অভিযোগ অনেকের।

বিকেল ৪টার দিকে প্রথম রাউন্ডে ১৫টি ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এতে প্রথম হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার আলাল মিয়ার ঘোড়া ‘শাহজালালের দোয়া’।

দ্বিতীয় স্থান হয়েছে একই উপজেলার দিলকাছ মিয়ার ঘোড়া ‘মায়ের আদেশ’।

এছাড়া তৃতীয় হয়েছে মাধবপুর উপজেলার বাবুল মিয়ার ঘোড়া ‘রনজিত’।

প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কারের চেক তুলে দেন।

প্রতিযোগিতা দেখতে এসেছিলেন হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার মোস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকি। মাঝেমধ্যে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার সংবাদ পেলেও সময়ের কারণে যাওয়া হয় না। আজকে শহরের ভেতরে এমন সুন্দর একটি আয়োজন করায় আমি খুবই আনন্দিত।’

নবীগঞ্জ উপজেলার ঘোড়া ‘শাহজালালের দোয়া’র মালিক আলাল মিয়া বলেন, ‘যেখানেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানেই আমি অংশ নিই। মাঝে মধ্যে জিতি, আবার মাঝেমধ্যে হারি। তাতে কোনো সমস্যা নাই। প্রতিযোগিতায় অংশ নিই আনন্দের সঙ্গে। আজ আমার ঘোড়া প্রথম স্থান অর্জন করেছে, সেজন্য আমি খুবই খুশি।’

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘আমি শুনেছি ঘোড়দৌড় এই এলাকার এক সময়ের ঐতিহ্য ছিল। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। সবাই প্রতিযোগিতায় অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অংশ নিয়েছেন। আমি চাইব, এই প্রতিযোগিতা প্রতি বছর চালু থাকুক।’

এ বিভাগের আরো খবর