বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই শিশুকে ‘বিষ’, রহস্য উদ্ঘাটন ফোনকলের সূত্রে

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ২০:৪৯

এসপি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার দিন দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে লিমাকে বিষ মাখানো মিষ্টি দেন সফিউল্লাহ। এর পরও লিমার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন তিনি। তার কথামতোই লিমা বড় ছেলেকে তিনটি ও ছোট ছেলেকে দুটি মিষ্টি খাওয়ান। এর পরই দুই শিশু অস্বস্তিবোধ করতে থাকে।

যেদিন দুই শিশুকে বিষ মাখানো মিষ্টি খাওয়ানো হয়, সেদিন মা লিমা আক্তারের সঙ্গে হত্যার পরিকল্পনাকারী সাফিউল্লাহ ১৫ বার ফোনে কথা বলেন। তাদের ফোনকলের সূত্র ধরেই এই হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার দিন দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে লিমাকে বিষ মাখানো মিষ্টি দেন সফিউল্লাহ। এর পরও লিমার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন তিনি। তার কথামতোই লিমা বড় ছেলেকে তিনটি ও ছোট ছেলেকে দুটি মিষ্টি খাওয়ান। এর পরই দুই শিশু অস্বস্তিবোধ করতে থাকে।

শিশুদের মা লিমা আক্তারকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে দুর্গাপুরের বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বাবা ইসমাঈল হোসেনের করা মামলায় লিমাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আফরিন আহমেদ হ্যাপীর কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি স্বাকারোক্তিমূলক জাবনবন্দি দেন বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, চালকলে কাজ করার সুবাদে শ্রমিক সর্দার সফিউল্লাহর সঙ্গে লিমার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লিমাকে আর্থিকভাবেও সহায়তা করতেন সফিউল্লাহ। সে জন্য লিমা সফিউল্লাহকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফিউল্লার শর্ত ছিল, দুই সন্তানকে ছেড়ে আসতে হবে।

পুলিশ সুপার জানান, শর্ত অনুসারে দুই সন্তানকে বিষ খাওয়ান লিমা। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।

এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পুরো জেলায় নাপা সিরাপ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।

যে ফার্মেসি (মা ফার্মেসি) থেকে নাপা সিরাপ কেনার কথা জানিয়েছিল শিশুদের পরিবার, সেটি সিলগালা করে দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ওই ফার্মেসি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয় ঢাকায়।

উপজেলা ঔষধ প্রশাসন থেকে জানানো হয়, অনুমোদন ছাড়াই চলছিল মা ফার্মেসি। ঘটনার পর থেকে পলাতক ফার্মেসি মালিক মাঈনুদ্দিন।

পরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নাপা সিরাপের একটি ব্যাচ পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নাপা সিরাপের মানে কোনো সমস্যা না পাওয়ার কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।

এ বিভাগের আরো খবর