বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১-এর নিচতলায় দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের সময় এ সংঘর্ষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি হয়নি। যে যার মতো করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ছাত্রলীগের নামে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গ্রুপগুলো আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রায়ই সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপনেও আলাদা কর্মসূচির ডাক দেয় পক্ষগুলো। দুপুরে রক্তিম-ইভান এবং সিফাত-রিদম গ্রুপ কর্মসূচি পালন নিয়ে বিবাদে জড়ায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কেউ আহত হননি।
শিক্ষার্থী আজম খাঁন আবির জানান, সিফাত ও রক্তিম গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের সময় সংঘর্ষ হয়।
প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দুই গ্রুপকে দুই দিকে আলাদা করে দেয়া হয়েছে।
বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।