বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার সুস্পষ্ট নির্দেশনা: বিজিবি ডিজি

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ১৭:০১

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রয়েছে দীর্ঘ কারাবরণের ইতিহাস। বাঙালি জাতিকে মুক্তির স্বাদ এবং স্বাধীনতা দেয়ার লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন সহজসাধ্য ছিল না।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম একটি ইতিহাস বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়ে একজন রূপকারের জন্ম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষা একই সূত্রে গাঁথা।

‘বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৯৪৮ সালে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন, ‘৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-র গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-র সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির দিশা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।’

বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে বিজিবি সদর দপ্তরসহ অন্যান্য সব ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টায় বিজিবি সদর দপ্তরসহ অন্য সব ইউনিটে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর বিশেষ আলোচনা এবং ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) তৃতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ‘সতীর্থ এসো সত্যাশ্রয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, পিলখানায় সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রয়েছে দীর্ঘ কারাবরণের ইতিহাস। বাঙালি জাতিকে মুক্তির স্বাদ এবং স্বাধীনতা দেয়ার লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন সহজসাধ্য ছিল না।

‘বঙ্গবন্ধু অল্প সময়ে বাংলাদেশের সংবিধান রচনাসহ পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, শিল্পনীতি, খাদ্যব্যবস্থা, ব্যাংকব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা ঠিক করে বাংলাদেশের পুনর্গঠনকাজে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছিলেন। তিনি দেশে দেশে ঘুরে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের পাশাপাশি দেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছেন। তিনিই প্রথম জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ প্রদান করে বাংলাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন।’

অনুষ্ঠানে বিজিবির সব পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, সৈনিকসহ সব বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর