বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা: ডিবি

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ১৬:৩৮

ভাই আমিনুলের সঙ্গে জমির বিরোধ বাড়তে থাকায় তাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন রাজ্জাক। সে জন্য দুই সহযোগীকে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।

ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করান আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল- ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত শেষে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম।

নিহত কিশোরীর বয়স ১৫। তিনি ছিলেন পোশাকশ্রমিক, কাজ করতেন গাজীপুরে। তার স্বামী ৬০ বছরের আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের বাড়ি ধোবাউড়ায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই কিশোরীর মরদেহ গত ১৫ মার্চ সকালে ধোবাউড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। তার পরনে থাকা প্যান্টের পকেটে পাওয়া যায় মো. শহিদুল্লাহ ও নিহতের জন্মসনদের দুটি ফটোকপি। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শহিদুল্লাহ হলেন আমিনুল ইসলামের ছেলে। আর মরদেহ যে ধানক্ষেতে পাওয়া গেছে, তার সামনেই আমিনুলের বাড়ি।

ডিবি জানায়, এই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, আমিনুলের ভাই আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী হলেন ওই কিশোরী। জমি নিয়ে আমিনুলের সঙ্গে রাজ্জাকের অনেক দিনের বিরোধ ছিল। সন্দেহের জেরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার বিকেলে গাজীপুর থেকে আটক করা হয় রাজ্জাককে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, ভাইকে ফাঁসাতে তিনি এ কাজ করেছেন।

রাজ্জাকের বরাতে ডিবি জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে গাজীপুরেই পরিচয় তার। মেয়েটিকে সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে মাস দুয়েক আগে তিনি বিয়ে করেন। তবে তা না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। তারা গাজীপুরের গাছায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

এদিকে ভাই আমিনুলের সঙ্গে জমির বিরোধ বাড়তে থাকায় তাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন রাজ্জাক। ধোবাউড়ায় পরিচিত দুজনের সহযোগিতা নেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী নিজ গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নেয়ার কথা বলে গত ১৪ মার্চ গাজীপুর থেকে রওনা দেন। ধোবাউড়া পৌঁছে কংশ নদীর তীরে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মরদেহ ভাই আমিনুলের বাড়ির সামনের ওই ক্ষেতে ফেলে রাখেন। স্ত্রীর প্যান্টের পকেটে ওই কাগজপত্রও রাখেন।

ডিবির ওসি সফিকুল জানান, রাজ্জাকসহ তিনজনের নামে বুধবার মামলা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আর রাজ্জাককে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়েছে।

আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস জানান, আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মূখ্য বিচারিক ৫ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মাহবুবা আক্তার সেটি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠান।

এ বিভাগের আরো খবর