আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নোয়াখালীর সবচেয়ে ‘ঘৃণিত লোক’ বলার এক সপ্তাহের মাথায় তাকে ‘বাবার পরেই স্থান’ দেয়ার কথা বললেন নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
আবদুল কাদের মির্জা জেলা আওয়ামী লীগকে ভাঙতে চাইছিলেন- এমন অভিযোগ এনে তিনি বিষয়টি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।
আগামী ২৩ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নিজেকে সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বেলা সাড়ে ১১টায় মিছিল শেষ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখছিলেন একরামুল।
নোয়াখালীতে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে লাগাম ধরেন, নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে বাঁচান। সবার আঙুল কিন্তু আপনার দিকে।’
তিনি বলেন, ‘বাবার পরে আপনাকে স্থান দিয়েছিলাম, সেটা ধরে রাখেন। আপনার যারা টেন্ডারবাজি থেকে সুবিধা নিতে চায় তাদের সামলান। শুধু আপনারা খাবেন কিন্তু কর্মীরা খাবে না, তা হবে না তা হবে না।’
একরামুল বলেন, ‘যদি নেত্রী বলেন, তাহলে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দাঁড়াতে চাই। যারা বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে আছেন, তারা টাকার বিনিময়ে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিলেন। তাদের কোনো ক্ষমা হবে না।’
গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ সময় সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে সাংসদ একরাম সিঙ্গাপুরের মাউন্ড এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ফেসবুক লাইভে ‘ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর সবচেয়ে ঘৃণিত লোক এবং তিনি আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছেন’ মর্মে মন্তব্য করেন।
এর আগেও ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকারের বংশধর আখ্যা দিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে আলোচিত হন একরাম। তিনি টানা ১৭ বছর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।