বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ব্যতিক্রমী শিশুমেলা 

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ১২:৪১

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান সাংবাদিক নওশাদ রানা সানভী বলেন, ‘আমরা বরাবরই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। আজকের বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।’

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমী শিশুমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শহরের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় শিশুরা বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে, আবার ক্রেতাও তারাই।

জানা যায়, শহরের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলে আয়োজিত মেলায় একাধিক স্টলে শিশুরা বিভিন্ন খাবার ও খেলনাসামগ্রী নিয়ে বসে। এসব সামগ্রী বিনা মূল্যে অন্য শিশুরা সংগ্রহ করে।

মেলায় জিলাপি, আকরি, চিনি সাঁজ, কদমা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, কুলি পিঠা, খাজা, পোড়াবাড়ির চমচম, মাটির খেলনা, হাঁড়ি-পাতিলসহ নানান কিছুর পসরা বসিয়ে আনন্দে দোকান করে তারা। মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।

তবে অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো নামিদামি অতিথি বা শিল্পী। এ দিন সব দায়িত্ব পালন করেছে শিশুরাই, এমনকি অতিথির আসনেও বসে ছিল শিশুরাই।

মেলায় শিশুরাই ছিল ক্রেতা ও বিক্রেতা। ছবি: নিউজবাংলা

মেলা উপলক্ষে শিশুরা মেতে ওঠে আনন্দে-উল্লাসে। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলার শুরুতেই এমন আয়োজন দেখে শিশু-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মুগ্ধ অভিভাবকও।

অভিভাবক সামিমা সিথি বলেন, ‘বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আয়োজনকে আমরা সাধুবাদ জানাই। বিদ্যালয় খুলেই এমন আয়োজন দেখে শিশুরা অনেক খুশি হয়েছে। যান্ত্রিক ও প্রতিযোগিতার বাজারে বেড়ে ওঠা শিশুদের মানসিক বিকাশে এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত।’

অভিভাবক সুমাইয়া পারভীন শিলা বলেন, ‘সত্যিই এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। মেলায় আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে শিশুরা।’

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান সাংবাদিক নওশাদ রানা সানভী বলেন, ‘আমরা বরাবরই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। এবার একটু ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিশুরা বাসায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল। অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেশার সুযোগ ছিল না।

‘তাই সহপাঠীদের সঙ্গে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে শিশু মেলার আয়োজন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকের বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।’

এ বিভাগের আরো খবর