বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ঢাকা-নয়াদিল্লি বৈঠকে সম্পর্কের নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলাপ হবে’

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ২১:০১

ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক তা গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। আমার চাকরিজীবনে কখনো দেখিনি যে একটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একই বছরে কোনো দেশ সফর করেছেন। অথচ আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে তা ঘটেছে। এটি পারস্পরিক সম্পর্কে দৃষ্টান্তমূলক উন্নতি।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় চলছে। দুই দেশের মধ্যে আসন্ন যৌথ সহযোগিতামূলক বৈঠকে সম্পর্কের আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলাপ হবে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বুধবার এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘গত কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সব বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক উন্নতি ঘটেছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে একাধিক উদ্যোগ কাজ করছে।

‘করোনা সংক্রমণের সময় যখন পুরো বিশ্ব স্থবির, তখন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের শীর্ষ পর্যায়ে সফর হয়েছে। এটা দুই দেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। আমাদের সম্পর্কে এখন সোনালি অধ্যায় চলছে, সামনের দিনে যা ছাড়িয়ে যাবে।’

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক তা গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। আমার চাকরিজীবনের ইতিহাসে এর আগে কখনো দেখিনি যে একটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একই বছরে কোনো দেশ সফর করেছেন। অথচ আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে তা ঘটেছে। এটি পারস্পরিক সম্পর্কে দৃষ্টান্তমূলক উন্নতি।

‘আসন্ন দুই দেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক বৈঠকে আমরা সম্পর্কের আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলাপ করব; যাতে দুই দেশ নিজেদের স্বার্থ ঠিক রেখে আরও এগিয়ে যেতে পারে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী আট বাংলাদেশি প্রতিযোগীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মাসুদ বিন মোমেন ও বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী তাদের হাতে সম্মানী ও সনদ তুলে দেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছরের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে ভারতের স্বীকৃতি দেয়ার দিন ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দিনটিকে মৈত্রী দিবস (Friendship Day) হিসেবে ঘোষণা করেন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ১৮টি শহরে বাংলাদেশ ও ভারতে যৌথভাবে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৈত্রী দিবস উদ্‌যাপন করে।

মৈত্রী দিবস উদ্‌যাপনের জন্য দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা বিভিন্ন স্তরে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। পরে বিভিন্ন দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে যৌথ নির্বাচক কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বিজয়ী নির্বাচন করে।

লোগো ও ব্যাকড্রপ প্রত্যেক ক্যাটাগরির নকশার জন্য বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য পৃথকভাবে ৮টি করে মোট ১৬টি সম্মানী পুরস্কার রয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগী মোট নয়টি পুরস্কার এবং সাতজন ভারতীয় প্রতিযোগী সাতটি পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে দ্রুতই ভারতীয় প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর