বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কক্সবাজারে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৯:৫১

টানা তিন দিনের ছুটিতে সৈকত এলাকার ৫১৬টি হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজের সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এসব হোটেলে অন্তত তিন লাখ পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান তারা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর বেশ মন্দা অবস্থায় ছিল দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতটিতে এবার রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগম হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার হোটেল-মোটেলের মালিকরা।

টানা তিন দিনের ছুটিতে সৈকত এলাকার ৫১৬টি হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজের সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এসব হোটেলে অন্তত তিন লাখ পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান তারা।

হোটেল-মোটেল মালিকদের প্রত্যাশা, এই কয়েক দিনে শুধু আবাসিক খাত থেকেই আনুমানিক ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় হবে তাদের।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে আগামী ১৭ থেকে ১৯ মার্চ তিন দিন সরকারি ছুটি। এ কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসতে শুরু করেছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।

নতুন তালিকা অনুযায়ী কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজের সংখ্যা ৫১৬টি। এসব হোটেলে ধারণ ক্ষমতা প্রায় তিন লাখ পর্যটকের। সবকটি কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচকর্মীরা।

এ ছাড়া মোতায়েন করা হবে সাদা পোশাকধারী বিপুল পরিমাণ পুলিশও।

হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সব গুজব বা নানা সমালোচনার মধ্যেও ভালো ব্যবসার আশা জেগেছে। দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা বা করোনার থাবা থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমবার বড় কোনো ব্যবসার আলো দেখছে পর্যটন শহরের ব্যবসায়ীরা। ৫১৬ হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজের শতভাগ বুকিং হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যটন নগরীতে আসতে শুরু করেছে পর্যটক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি থাকবে আগত পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন না হন। পর্যটন শিল্প ধরে রাখতে হলে পর্যটকদের গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে বিভিন্ন গুজব ও নিরাপত্তাজনতি কারণে ধস নামবে এ শিল্পে।’

ভিজ টা বে নামের একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘তিন দিনের ছুটিকে সামনে রেখে হোটেলের সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেক ফোন আসছে বুকিংয়ের জন্য। কিন্তু আমরা বুকিং নিতে পারছি না। আশা করছি অনেকদিন পরে ভালো ব্যবসা হবে।’

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ’১৭ থেকে ১৯ তারিখের জন্য সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। সবখাতে মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে।

কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারা বছরের জন্য এ দুইদিন ব্যবসা হবে। কারণ করোনা বড় ধরনের লোকসানে ফেলেছে ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে হোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটনখাতে জড়িতরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী এমন দুই এক দিনের ব্যবসা তেমন কিছুই হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গড়ে প্রতি হোটেলে দুই লাখ টাকা করে ধরলেও প্রায় ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকার ব্যবসা হবে। এ ছাড়া অন্য খাতে তো আরও বেশি ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্যটকরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতির মুখে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে সব হোটেল-মোটেল নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকা তিনটি পয়েন্ট অতি গুরুত্ব দেয়া হবে। এর বাইরেও যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে। পর্যটদের কোনো ধরণের হয়রানি বরদাস্ত করা হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর