বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহজালাল ব্যাংকে পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৯:৪০

২০১৬ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল ব্যাংকটি। এবারও সমপরিমাণ লভ্যাংশ দেয়া হবে। সেই বছরের পর গত বছর ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস মিলিয়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশই ছিল সর্বোচ্চ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকও করোনার দ্বিতীয় বছরে আগের বছরের চেয়ে আয় বাড়িয়ে লভ্যাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা গত পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ।

এই লভাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি এক টাকা নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ প্রতি ২০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে পাওয়া যাবে শেয়ার।

২০১৬ সালেও একই পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। এরপর গত বছর ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস মিলিয়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশই ছিল সর্বোচ্চ।

বুধবার পরিচালনা পর্ষদের এই বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা। আয় বেড়েছে ৬৫ পয়সা বা ৩৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

আয় বাড়লেও গত বছরের চূড়ান্ত প্রান্তিক, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় বেশ কম হয়েছে ব্যাংকটির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে সবচেয়ে কম ৭ পয়সা।

আয়ের পাশাপাশি শেয়ারপ্রতি সম্পদও ব্যাপকভাবে বেড়েছে শাহজালালের। আগের বছর প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১৭ টাকা ৪৬ পয়সার সম্পদ ছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯ টাকা ১৭ পয়সা।

যারা এই লভ্যাংশ নিতে চায়, তাদেরকে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে ২৮ এপ্রিল।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ব্যাংকটির শেয়ারমূল্য ছিল ২৩ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা

এর আগে ডাচ্-বাংলা, উত্তরা, মার্কেন্টাইল, ব্র্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর সবগুলো ব্যাংকই আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করতে পেরেছে।

এর মধ্যে ডাচ্-বাংলা নগদ লভ্যাংশ বাড়িয়ে বোনাস শেয়ার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই ধরনের মিলিয়ে তাদের লভ্যাংশ কিছুটা কমেছে। আগের বছর লভ্যাংশ ছিল ৩০ শতাংশ, এবার তা প্রস্তাব করা হয়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ দেয়া হবে বোনাস, আর সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ।

অন্যদিকে ব্র্যাক ব্যাংক নগদ লভ্যাংশ কমিয়ে বোনাস শেয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকটি আগের বছর ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। এবার তারা দেবে সাড়ে সাত শতাংশ নগদ ও সমপরিমাণ বোনাস।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক গত বছর ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস দিয়েছিল। এবারও সমপরিমাণ বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ নগদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উত্তরা ব্যাংক গত বছর সাড়ে ১২ শতাংশ করে নগদ ও বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। এবার বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করে ২৮ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে তারা।

ব্যাংক এশিয়া এবার বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর লভ্যাংশ ছিল ১০ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর