‘বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছেন। বাঙালির কি চাওয়া, তাদের দাবি, আশা-আকাঙ্খা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন তিনি।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসহোযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশেষ্ঠ উদাহারণ। বঙ্গবন্ধু ত্রিকালদর্শী পুরুষ ছিলেন। তিনি অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যত পড়তে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস বোধ বাঙালি জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছে।’
দীপু মনি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সব মানুষ এক হয়ে যেত। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের মধ্যে অনেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বললেও তিনি তা দেননি। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারতেন। এর ভিত্তিতে সকল পদক্ষেপ নিতেন। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীন নয় বরং সকল ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘একজন মহানায়ক দেশে বারবার আাসে না, একবারই জন্ম নেন। বঙ্গবন্ধু হচ্ছে আমাদের সেই মহানায়ক। তার মতো করে এমন ত্যাগ আর কেউ করতে পারেননি, পারবেনও না। তিনি আমাদের আশ্রয় ও পথ চলার নির্দেশদাতা।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রের ভিত স্থাপন করেছেন।’
জাগো নিউজের উপসম্পাদক ড. হারুন রশীদ বলেন, ‘পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর রাজধানীতে যানজট বেড়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।