করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে করোনাকালীন চলমান মাধ্যমিক পর্যায়ের (ষষ্ঠ-নবম) অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
করোনা মহামারি দেখা দেয়ার পর ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মধ্যে ধরে রাখাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে চলমান অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পুনরায় নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে কোনো শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণে শিখন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে।
বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হওয়ায় চলমান অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।
প্রথমে মাধ্যমিক স্কুল এবং এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। সবশেষে সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর গত ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।