ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ এনে পুলিশ সদর দপ্তরের সাপ্লাই শাখার এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে ঢাকায় আদালতে মামলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মঙ্গলবার এক নারী মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ডিবি পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ৮ মে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজু হাওলাদার পলাশ নিউজবাংলাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে ওই নারীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। তারা আগস্টে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীকে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো না। ওই নারী তাকে বিয়ে করলে তিনি স্ত্রীকে তালাক দেবেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন ফারুকী হঠাৎ করে ওই নারীর বাসায় যান। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে তিনি তার বাসায় যাতায়াত করতে থাকেন। ৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর জন্মদিনে মহিউদ্দিন ফারুকী তাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেন। এর পর থেকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মহিউদ্দিন ফারুকী তার সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৭ মার্চ ওই নারী মহিউদ্দিন ফারুকীকে তার প্রেগনেন্সির (অন্তঃসত্ত্বা) কথা জানান।
এদিকে চিকিৎসক ওই নারীকে পরীক্ষা করে ভিটামিন ও আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণের পরামর্শ দেন। ১৮ মার্চ মহিউদ্দিন ফারুকী কিছু ওষুধ এনে তাকে খাওয়ান। একপর্যায়ে পেটে ব্যথা শুরু হলে মহিউদ্দিন ফারুকী স্বীকার করেন যে ওষুধগুলো গর্ভপাতের।
এরপর ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল ওই নারী আবারও গর্ভবতী হওয়ার কথা জানতে পারেন। ২৮ এপ্রিল মহিউদ্দিন ফারুকীকে এ খবর জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে হুমকি দেন। ওই নারী তাকে বিয়ে করতে বলেন। নইলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান। পরবর্তী সময়ে ৬ জুন তারা বিয়ে করেন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।