বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চার গুণ বাড়তি মাশুল আরোপ থেকে পিছু হটল বন্দর

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৭:৪৭

বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এফসিএল কনটেইনারের পণ্য ডেলিভারি সন্তোষজনক হওয়ায় স্টোর রেন্ট চার গুণ বেশি আদায়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি। আমরা আমদানিকারকদের সতর্ক করতেই নোটিশটা দিয়েছি। এরপর দেখা গেছে পণ্য ডেলিভারি বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের অনুরোধের বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দরে এফসিএল কনটেইনারের জট কমাতে ২০ দিনের বেশি ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারের স্টোর রেন্ট চার গুণ বেশি আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৫ মার্চ থেকে এটি কার্যকরে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনাও দেয়া হয়। সোমবার এ নিয়ম কার্যকর না করতে বন্দরকে চিঠি দেয় বিজিএমইএ।

বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বুধবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এফসিএল কনটেইনারের পণ্য ডেলিভারি সন্তোষজনক হওয়ায় স্টোর রেন্ট চার গুণ বেশি আদায়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি। আমরা আমদানিকারকদের সতর্ক করতেই নোটিশটা দিয়েছি। এরপর দেখা গেছে পণ্য ডেলিভারি বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের অনুরোধের বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’

তবে বন্দর সচিবের এ কথার সঙ্গে পণ্য খালাসের হিসাবের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, গত ১ মার্চ বন্দর থেকে পণ্য খালাস হয়েছে ৪ হাজার ২৯৩ একক কনটেইনার। এর ১৩ দিন পর খালাস পণ্যের পরিমাণ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৯৩৮ একক কনটেইনারে।

কনটেইনার থেকে পণ্য খালাস কমার পরও স্টোর রেন্ট কার্যকর থেকে বন্দরের পিছু হটার কারণ হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর চিঠি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা সব সময় বন্দর কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে। আমাদের অনুরোধ প্রায়োরিটি দেয় তারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সার্ভার আপগ্রেডশনের জন্য গত চার দিন পণ্য খালাস করতে পারেনি। যদিও কাল থেকে এ সমস্যার সমাধান হয়েছে।’

জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের পর প্রথম চার দিন বিনা খরচে বন্দরে কনটেইনার রাখার সুবিধা পান ব্যবসায়ীরা। এর পর থেকে ২০ দিন পর্যন্ত কনটেইনার আকারভেদে ২৪ কিংবা ৪৮ ডলারে রাখার সুযোগ থাকে। কিন্তু নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে ব্যবসায়ীরা মাসের পর মাস বন্দরে কনটেইনার ফেলে রাখে। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। তৈরি হয় কনটেইনারের জট।

মূলত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে এ সমস্যা সমাধানের জন্যই ২১তম দিন থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে চার গুণ ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বন্দর।

এ বিভাগের আরো খবর