বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টানা দুই দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দেশ

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৭:০৬

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েয়ে ১৮২ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১২২ জন।

দেশে চলতি বছরে করোনায় দ্বিতীয় বারের মতো মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ। এনিয়ে টানা ৪৮ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে কেউ মারা যায়নি।

দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের তথ্য জানায় সরকার। সে দিন থেকে গত বছরের ২০ নভেম্বর প্রথম ও ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো মৃত্যুশূন্য দিন পার করে দেশ। আর গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েয়ে ১৮২ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১২২ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১২ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৮টি ল্যাবে ১৩ হাজার ১৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ভাইরাসটি থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৯২ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন।

রোগী শূন্য ৩৮ জেলা

করোন পরিস্থিতি উন্নতির সাথে সাথে জেলাগুলোতে রোগীর পরিমাণ কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জেলাতে রোগীশূন্য ছিল। যে ২৬ জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ জনের নিচে।

করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে আবার নতুন ঢেউ আসে। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই ঢেউয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

এরপর দেশে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।

রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই কমতে থাকে শনাক্তের হার। গত ১১ মার্চ এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পর পর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে ভাইরাসটির ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা যাবে। বিপরীত দিকে করোনার ঢেউয়ে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার কমে ৫ শতাংশের নিচে নেমে পরপর দুই সপ্তাহ এই পরিস্থিতি থাকলে ঢেউটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর