বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উত্থানের পরদিনই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উল্টো দৌড়

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৫:১৯

১০ টাকার নিচে দর, এমন মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের মধ্যে ২১টির দর কমেছে ১০ পয়সা করে। ১০ টাকার বেশি কিন্তু ১৫ টাকার কম, এমন ফান্ডগুলোর মধ্যে তিনটির দর কমেছে ২০ পয়সা করে। ১৫ টাকার বেশি কিন্তু ২০ টাকার কম এমন তিনটির দর সর্বোচ্চ ৩০ পয়সা করে কমার সুযোগ ছিল, কিন্তু দুটির কমেছে ২০ পয়সা করে। দুটি ফান্ডের দর বেড়েছে ১০ পয়সা করে।

৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩৪টির দর বৃদ্ধি- এমন ঘটনার পর দিন দেখা গেল উল্টো চিত্র। দুটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৭টির দর। উত্থান হওয়া দর ধরে রাখতে পেরেছে বাকি ৬টি। একটির লেনদেন হয়নি।

তবে মঙ্গলবার ফান্ডের ইউনিটমূল্য যেভাবে বেড়েছে, সেই তুলনায় বুধবার কমেছে কম। অবশ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্তের কারণে শেয়ার বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটমূল্য কমতে পারে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ। আর দর বৃদ্ধি আর কমার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০ পয়সা কম-বেশি করা যায় বলে ১০ টাকার নিচের শেয়ারের দর সর্বোচ্চ ১০ পয়সা আর ১৫ টাকার নিচেরগুলো কমতে পারে ২০ পয়সা করে।

যেসব ফান্ডের ইউনিট মূল্য কমেছে, সেগুলোর বেশিরভাগই কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত।

১০ টাকার নিচে দর, এমন মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের মধ্যে ২১টির দর কমেছে ১০ পয়সা করে। ১০ টাকার বেশি কিন্তু ১৫ টাকার কম, এমন ফান্ডগুলোর মধ্যে তিনটির দর কমেছে ২০ পয়সা করে। ১৫ টাকার বেশি কিন্তু ২০ টাকার কম এমন তিনটির দর সর্বোচ্চ ৩০ পয়সা করে কমার সুযোগ ছিল, কিন্তু দুটির কমেছে ২০ পয়সা করে।

দুটি ফান্ডের দর বেড়েছে ১০ পয়সা করে।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

আগের দিন দুটি ফান্ডের দর বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি, একটির প্রায় ৮ শতাংশ, দুটির প্রায় ৭ শতাংশ, দুটির প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ, একটির ৬ শতাংশের বেশি, ছয়টির ৫ শতাংশের বেশি, ৯টির ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে, ৫টির ৩ থেকে ৪ শতাংশ এবং ৬টির দর বেড়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় শিশু দিবসের সরকারি ছুটিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। সেই হিসেবে চলতি সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ছিল বুধবার। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে ৫০টিরও বেশি কোম্পানির শেয়ার।

সূচক সামান্য বাড়লেও এদিন যতগুলো শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক। অল্প কিছু শেয়ার দর ধরে রাখতে পেরেছে।

বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ২২৮টির দর। দর অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির দর।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই প্রায় সব কোম্পানির দরপতন হয়েছে সাধারণ বিমা খাতে। ৪০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩৬টির, বেড়েছে বাকি চারটির।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১১টির দর, কমছে বাকি ৩১টির। লেনদেনের শীর্ষে থাকা বস্ত্র খাতে ১৯টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৩০টির। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৫টির দর। আর্থিক খাতে ৪টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৪টির দর।

অন্যদিকে এক দিনে তিনটি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার খবর প্রকাশ হওয়ার দিন বেড়েছে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দর। তিনটি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ২১টির দর। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৯টির। ওষুধ ও রসায়ন খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। ১৬টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৪টির দর।

আগের দিন এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও পর সেটি নেমে এসেছে আট শ কোটির ঘরে। ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণার পর সবচেয়ে কম লেনদেন দেখল পুঁজিবাজার।

দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়ায় আট কর্মদিবসে ৩৮২ পয়েন্ট সূচক পতনে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, সেটি দৃশ্যত কমেছে। এর পেছনে বিএসইসির দুটি সিদ্ধান্ত কাজ করেছে।

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ, এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের আদেশ দেয়ার পর সাত কর্মদিবসের মধ্যে সূচক কমেছে কেবল এক দিন।

গত সোমবার ১.৭৯ পয়েন্ট সূচক কমেছিল। তবে পরের দুই দিন মিলিয়ে বেড়েছে যথাক্রমে ১.৫৪ ও ০.১১ পয়েন্ট।

দিনের সর্বোচ্চ দামে নেই কোনো কোম্পানি

এদিন কোনো কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন শেষ করেনি। তবে জেমিসি সি ফুডের দর সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লেনদেন শেষ করেছে সেখান থেকে কিছুটা কমে। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৮.৭৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৬.৯৪ শতাংশ।

৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির দর।

শীর্ষ দশের মধ্যে ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও দুটির, চার শতাংশের বেশি বেড়েছে ৩টির আর শীর্ষ দশের শেষ অবস্থানে থাকা কোম্পানির দর বেড়েছে ৩.৯১ শতাংশ।

আগের দিন শীর্ষ দশের মধ্যে অন্তত ৬টির লেনদেন হয়েছিল দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায়।

৫০টিরও বেশি কোম্পানির দর কমেছে সর্বোচ্চ

বিএসইসির বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের কাছাকাছি দর কমেছে বিপুল সংখ্যক কোম্পানির। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে রবির শেয়ারদর। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২ শতাংশ চূড়ান্ত এবং আগের ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শেয়ারদর কমেছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৫৯ শতাংশ।

অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২ শতাংশ দর কমেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, বিডিথাই অ্যালুমিনিয়ম, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, এভডেন্ট ফার্মা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ও মতিন স্পিনিং ছিল দর পতনের শীর্ষ দশে।

এ বিভাগের আরো খবর