সিজিপিএর শর্ত শিথিল করে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বর্ষে অকৃতকার্যদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণসহ তিন দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রেখেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের অবরোধে ওই মোড়সহ আশেপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১টার দিকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বাকি দাবিগুলো হলো সাত কলেজের দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করে ১০০ মার্কের পরিবর্তে ৮০ মার্কের পরীক্ষা নিয়ে বাকি ২০ মার্ক ইনকোর্সের মাধ্যমে যোগ করা এবং গণহারে ফেইল করার কারণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন সকাল ৯টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের একাংশ। তবে কর্মসূচি শুরু হয় বেলা ১১টায়। মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা 'উই ওয়ান্ট প্রমোশন' আমাদের দাবি মানতে হবে ইত্যাদি স্লোাগান দেন।
বেলা সাড়ে সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে আন্দোলনস্থলে আসেন কলেজটির তিন শিক্ষক। তারা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং রসায়ন বিভাগের প্রভাষক নকুল চন্দ্র পাল।
ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে সাগর নামের একজনের নাম জানা গেছে।
শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে অবরোধ ছেড়ে আলোচনায় বসতে আহ্বান জানালেও শিক্ষার্থীরা সে আহবানে সাড়া না দিয়ে অবরোধ চালিয়ে যান।
এ সময় দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুনকে উদ্দেশ্য করে সাগরকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার আপনারা চলে যান। আমরা দুই মিনেটের মধ্যে রাস্তা ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। এরপর শিক্ষকরা আন্দোলনস্থল থেকে চলে যান।’
এরপর নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইয়ুম ছাত্রলীগ নেতা সাগরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নাও। বাকিদের আমরাই সরিয়ে দিচ্ছি।’
পরে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী রবিন তিন দাবি পূরণে কলেজ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার ঘোষণা করেন।