বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হারিয়ে যাচ্ছে মরা পদ্মার খাল

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৩:১৮

স্থানীয় আজিবর রহমান শেখ বলেন, ‘দুই দশক আগেও খালটি খরস্রোতা ছিল। এরপর দখলদারদের কারণে খালে পানি ঢোকার পথ বন্ধ হয়ে এর অস্তিত্বই হারিয়ে যেতে বসেছে।’

নামে মরা পদ্মার খাল হলেও একসময় এই খাল মোটেও মরা ছিল না। পালতোলা নৌকা চলত; পদ্মা নদী হয়ে আসা বড় বড় মালবাহী নৌকা থেকে পণ্য নিয়ে এই খাল দিয়ে ছোট নৌকা যেত বিভিন্ন গ্রামে। খালের পানি দিয়ে হতো চাষাবাদ।

সেই খাল এখন মৃতপ্রায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, দখল ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারি না থাকায় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মরা পদ্মার খাল।

গোয়ালন্দ বাজারের মাল্লাপট্টি এলাকার মরা পদ্মা নদী থেকে জন্ম নেয়া খালটি পৌরসভার ভেতর দিয়ে ফরিদপুরের কুমার নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এটি মরা পদ্মার খাল নামে পরিচিত।

স্থানীয়রা জানান, দুই দশক ধরে খালসংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির অভাবে গোয়ালন্দ পৌরসভার দুই কিলোমিটার অংশ দখল হয়ে গেছে। এসব জায়গায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কাঁচাপাকা স্থাপনা। এতে বন্ধে হয়ে গেছে খালে পানি ঢোকার মূল পথ।

ধীরে ধীরে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পৌরসভার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা।

স্থানীয় আজিবর রহমান শেখ বলেন, ‘দুই দশক আগেও খালটি খরস্রোতা ছিল। এরপর দখলদারদের কারণে খালে পানি ঢোকার পথ বন্ধ হয়ে এর অস্তিত্বই হারিয়ে যেতে বসেছে।’

খালটিকে পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি তার। শুধু প্রক্রিয়ার কথাই জানিয়েছে প্রশাসন।

পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পৌরসভার ৬ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খালের কিছু অংশ অনেকে ভরাট করেছে। আবার কিছু জায়গা ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে খাল দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সবার সঙ্গে আলোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুল হক জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে খাল দখলদারদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজবাড়ী পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম অঙ্কুর বলেন, ‘মরা পদ্মার খালে আমাদের দপ্তরের অ্যাকোয়ার করা জমি আছে কি না বা খাসজমি আছে কি না, সেটা তদন্ত করার জন্য আমাদের রাজস্ব কর্মকর্তাকে পাঠাব। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী উচ্ছেদ চালানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর