সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল।
প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বুধবার বেলা ১১টার দিকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে বক্তব্য দেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন পর হাই-লেভেল পলিটিক্যাল কনসালটেশন হলো দুই দেশের মধ্যে।
তিনি বলেন, সবুজায়ন বাড়াতে সৌদি আরব ৫ হাজার কোটি গাছ রোপণ করতে চায়। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি সৌদিতে এবং বিভিন্ন দেশে বাকি ৪ হাজার কোটি। এসব গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণে সৌদি আরবকে চারা সরবরাহ ও বৃক্ষশ্রমিক দিতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে ফয়সালের সঙ্গে।
বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি একসঙ্গে কাজ করতে চান বলে জানান মোমেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সৌদি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ২০টি সৌদি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে।
সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চায়। বহুপাক্ষিকতার সমন্বয়ে এ সম্পর্ক আর নিবিড় করতে একমত দুই দেশ।
তিনি বলেন, সৌদি কোম্পানিগুলো বড় ধরনের অংশীদারত্বের ব্যবসায়িক পথ উন্মুক্ত করতে মুখিয়ে আছে। আশা করা হচ্ছে সামনের পথচলা আরও মসৃণ ও বন্ধুত্বপূর্ণই থাকবে।
বিশ্ব পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তেল সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে বলে জানান ফয়সাল। তিনি বলেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
হজে হয়রানি কমানোর উদ্যোগ
মোমেন জানান, হজে হয়রানি কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছে দুই দেশ। ভিসা প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম ঢাকায় রাখার প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও জানান, মেধাবৃত্তি অনুযায়ী ২৬৫ জনের মধ্যে ৮০ জন সৌদি আরবে গেছে।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রশাসনিক সহায়তা সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং সৌদির আল ফয়সাল ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।