পঞ্চমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে পরিবার। এবারও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বুধবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আবেদন করা হয়েছে। আমরা আমাদের চেষ্টা করছি।’
কবে আবেদন করা হলো এবং আবেদনে নতুন কিছু আছে কি না জানতে চাইলে সেলিমা বলেন, ‘আমি বিস্তারিত জানি না। বলতে পারছি না।’
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করেছেন বলে বিএনপি চেয়ারপারসন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, আবেদনে আগের তথ্যই রয়েছে; নতুন সংযোজন নেই। সাজা স্থগিতের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে শামীম এস্কান্দারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার সঙ্গে আমার কথা বলার নাই কোনো।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আব্দুস সাত্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা পরিবারের বিষয়। আমাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না।’
এর আগে ৬ মাস করে চারবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ চলতি মেয়াদ শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান।
সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো খালেদাকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি চারবার এভারকেয়ারে যান এবং তিনবার সেখানে ভর্তি হন, তবে স্বজনদের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার খালেদাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়।
উচ্চ আদালতে জামিন করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে যান।