পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংক গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে আয় বাড়াতে পারলেও লভ্যাংশ বাড়ায়নি। তবে নগদ লভ্যাংশ কমিয়ে এবার বোনাস শেয়ার বেশি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে আগের বছরের মতোই ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর অর্ধেক নগদে, অর্ধেক বোনাস শেয়ার হিসেবে দেয়া হবে।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ বা ৭৫ পয়সা এবং সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস শেয়ার পাবেন।
আগের বছর বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার প্রতি ১ টাকা নগদ এবং ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ৫টি বোনাস শেয়ার পেয়েছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১৭ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ্ গত ৩১ ডিসেম্বর প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪১ টাকা ৮ পয়সা। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এর আগে লভ্যাংশ ঘোষণা করা ডাচ্-বাংলা, উত্তরা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকও মহামারির দ্বিতীয় বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করতে পেরেছে। তিনটি ব্যাংকের মধ্যে উত্তরা ও মার্কেন্টাইল আগের বছরের চেয় লভ্যাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডাচ্- বাংলা নগদ লভ্যাংশ বাড়িয়ে বোনাস বেশি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্র্যাকের লভ্যাংশ যারা নিতে চান, তাদেরকে আগামী ৬ এপ্রিল শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডাকা হয়েছে আগামী ২৮ এপ্রিল।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্র্যাকের শেয়ারের দর বরাবরই তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। তবে গত তিন বছর ধরে সেটি অনেকটাই পড়তির দিকে।
গত বছর ব্র্যাকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের ২০ শতাংশ শেয়ার জাপানি সফট ব্যাংক কিনে নেবে- এমন ঘোষণা আসার পর শেয়ার মূল্য বেশ বেড়েছিল। তবে এই উত্থানের পর বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন।
এই ঘোষণা আসার পর শেয়ারদর এক পর্যায়ে ৬১ টাকা ৫০ পয়সা হয়ে গেলেও সেটি এখন ৫০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ারদর স্থির হয় ৪৮ টাকা ৪০ পয়সায়।