মহামারির দ্বিতীয় বছরে দেড় গুণ আয় করে লভ্যাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি ব্যাংক মার্কেন্টাইল।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২৫ পয়স নগদ ও ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি করে বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
মঙ্গলবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এই ব্যাংকটি যে লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে, সেটি প্রতিষ্ঠানটিতে আমানত রাখলে যে হারে সুদ পাওয়া যাবে, তার চেয়ে বেশি।
এখন দেশে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। তবে বর্তমানে ব্যাংকের ভল্টে টাকা উপচে পড়া অবস্থায় সুদহার পাওয়া যাচ্ছে এর চেয়ে কম।
কিন্তু ১৭ টাকার ৬০ পয়সার দাম থাকা এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা নগদ হিসেবে ৭.১০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়ে যাবেন। সঙ্গে যে বোনাস শেয়ার মিলবে সেটি অবশ্য শেয়ারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় হবে।
কোম্পানিটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২ টাকা ১৬ পয়সা আয় করতে পেরেছিল।
ওই বছর বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি ১ টাকা নগদের পাশাপাশি প্রতি ২০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে বোনাস শেয়ার পেয়েছিলেন।
করোনাকালে এখন পর্যন্ত যে তিনটি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে তিনটিই লভ্যাংশ বাড়িয়েছে।
২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে ব্যাংকিং খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমেছে অনেকটাই। কিন্তু এই খাতের কোম্পানিগুলো প্রতি বছরই বেশ ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে।
গত ছয় বছরে বেশ কয়েকটি ব্যাংক এফডিআরের সুদহারের চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। এর একটি মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
২০১৫ সালে এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা শেয়ারদরের ১১.২১ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছেন। শেয়ারের মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে যে আর্থিক মুনাফা তাকে পুঁজিবাজারে বলে ইল্ড।
২০১৬ সালে ৯.৯৩ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছেন তারা। ২০১৯ সালে আবার পেয়েছেন ৮.৩৩ শতাংশ নগদ মুনাফা (ইল্ড) এবং ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার।
মার্কেন্টাইলের লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ এপ্রিল। অর্থাৎ সেদিন যাদের হাতে ব্যাংকের শেয়ার থাকবে তারাই পাবেন এই লভ্যাংশ। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে ২৮ এপ্রিল।